Governor CV Ananda Bose

আলুপোস্ত ব্রাত্য, রাজ্যপাল ভোজ সারলেন পিঠে দিয়ে! ‘আবার আসব’, আউশগ্রামে বললেন আনন্দিত বোস

২০০১ সালে আউশগ্রামের শোকাডাঙাকে আদর্শ গ্রামের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ‘আমার গ্রাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁকে কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগের কথা বলেন স্থানীয়েরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২৯
আউশগ্রামে মধ্যাহ্নভোজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।

আউশগ্রামে মধ্যাহ্নভোজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। —নিজস্ব চিত্র।

বাঙালির প্রিয় আলুপোস্ত সরিয়ে রাখলেন পাশে। অনেক সাধাসাধির পরেও চেখে দেখেননি। পৌষ সংক্রান্তির পরের দিন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে গিয়ে পিঠেপুলিতেই মজলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার দুধপুলি আর চিকেন পিঠে দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করেন তিনি।

Advertisement

বুধবার আউশগ্রামের শোকাডাঙায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যপালের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা হয়েছিল মদন সোরেনের বাড়িতে। মদন আউশগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। রাজ্যপালের জন্য খাবারের টেবিলে সাজানো ছিল ভাত, ডাল, আলুপোস্ত, চাটনি, পাঁপড় আর মিষ্টি। সঙ্গে ছিল দু’রকমের পিঠে, দুধপুলি আর চিকেন পিঠে। ‘মেন কোর্স’ ছেড়ে ‘ডেজ়ার্ট’-এ মজলেন বোস। আলুপোস্তের বাটি দূরেই রাখলেন। ভাত-ডালও খাননি। দু’রকম পিঠে খেলেন চেটেপুটে। রাজ্যপালকে খাবারের টেবিলে এক সরকারি আধিকারিক বার বার বলেন, ‘‘স্যর, বাঙালির ‘ফেমাস’ খাবার।’’ কিন্তু তাতেও আলুপোস্তর দিকে মন যায়নি বোসের। দুপুরে কেবল পিঠেপুলি খেয়েছেন। শেষে ফলাহারও করেন। পাতে ছিল আপেল, কলা, আঙুর আর ড্রাগন ফ্রুট। খাওয়া শেষে পঞ্চায়েত সদস্য মদনকে ডেকে রাজ্যপাল জানান, সময়-সুযোগ হলে আবার তাঁর বাড়িতে যাবেন পিঠে খেতে।

২০০১ সালে আউশগ্রামের শোকাডাঙাকে আদর্শ গ্রামের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ‘আমার গ্রাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে কাছে পেয়ে নানা অভাব-অভিযোগের কথা বলেন আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিরা। মন দিয়েই সে সব শোনেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদিবাসীদের উন্নয়নে সচেষ্ট। আমি এই সফরে সকলের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা শুনছি, যাতে সেগুলোর সমাধান করা যায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল হিসাবে সাধারণ মানুষের ভাল-খারাপ দেখাই আমার কতর্ব্য। নিচুতলার, দুর্বল শ্রেণিকে সহায়তা করতে হবে। সে কারণেই আমার এখানে আসা।’’

Advertisement
আরও পড়ুন