প্রতীকী ছবি
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি। তার পরই বিশ্বের নজর কাড়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতি। জুন মাসের শেষে রাজ্যের চারটি সরকারি হাসপাতালেও পরীক্ষামূলক ভাবে অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি শুরু হবে বলে জানায় স্বাস্থ্য ভবন। কিন্তু প্রায় এক মাস হতে চললেও সরকারি হাসপাতালে এক জন রোগীরও এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করা যায়নি। ভারতে অ্যান্টিবডি ককটেল অপেক্ষাকৃত নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি। রোগীরাও এ বিষয়ে সচেতন নন। সেই কারণেই এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারে রোগীরা এগিয়ে আসছেন না বলে জানান এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
করোনায় আক্রান্ত যে সব রোগীর কো-মর্বিডিটি রয়েছে, কিন্তু অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার পড়ছে না, তাঁদের অবস্থা খারাপ হওয়া আটকাতেই অ্যান্টিবডি ককটেল ব্যবহার করা হয়। ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি ককটেল প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জন রোগী এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে করোনামুক্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এক বেসকরারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল এবং এমআর বাঙুর হাসপাতালে মৃদু উপসর্গ যুক্ত করোনা রোগীর চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা চিকিৎসক অজয় চক্রবর্তী জানান,‘‘অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। রোগী পেলেই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হবে।’’
ককটেল থেরাপির জন্য রোগীর হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন পড়ে না। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে এক দিনেই এই থেরাপি সম্ভব। বেসকরারি হাসপাতালে এক দিনের এই চিকিৎসার পদ্ধতির জন্য প্রায় ষাট হাজার টাকা খরচ পড়ে। করোনা চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক যোগীরাজ রায় জানান,‘‘অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপির জন্য বেশ কয়েক জনকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকেই এখনও রাজি করানো যায়নি।’’
মুম্বইয়ের সেভেন হিলস হাসপাতালে ২০০ জন মতো করোনা রোগীকে পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি ককটেল দিয়ে চিকিৎসা করে ইতিবাচক ফল মিলেছে বলে জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি )।এই চিকিৎসা পদ্ধতির ফলে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সম্ভাবনা কমছে এবং রোগীদের হাসপাতালে বেশি দিন ভর্তি থাকতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিএমসি। এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাডমিশন সেলের তরফ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাঁদের ফোন করে অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি সম্পর্কেও বোঝানো হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।