শনিবার। হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারে জিটি রোডের ধারে আবর্জনার স্তূপ। —নিজস্ব চিত্র।
জঞ্জাল ফেলার জন্য কলকাতার ধাপার মাঠের ব্যবস্থা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কিছুতেই জঞ্জাল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না হাওড়াবাসী! জায়গায় জায়গায় অলিগলিতে ভ্যাট উপচে পড়ছে। রাস্তাতেই জমছে আবর্জনার স্তূপ। দুর্গন্ধেও টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুর এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে শহরকে আবর্জনামুক্ত করতে হবে।
হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নামায় গত শনিবার থেকে শহরের জায়গায় জায়গায় আবর্জনা জমেছে। বিকল্প ভাগাড় হিসাবে ধাপা বাছা হলেও শহর এখনও জঞ্জালমুক্ত হয়নি। বহু জায়গায় আগের আবর্জনা ভ্যাটেই পড়ে রয়েছে। হাওড়ার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন, আগামী সোমবারের মধ্যেই হাওড়ার রাস্তাঘাটে যে জঞ্জাল জমে রয়েছে, তা সরিয়ে ফেলা হবে।
পুরপ্রশাসকের বক্তব্য, হাওড়া পুর এলাকা থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করে ধাপায় ফেলে আসার জন্য যে ডাম্পার রয়েছে, সেগুলির সব ক’টিকে কাজে লাগানো যাচ্ছিল না। পুরনো ডাম্পারগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে ১৫টি ডাম্পার নিয়ে আসা হচ্ছে। সেগুলি দিনরাত কাজ করে শহরের রাস্তায় জমে থাকা জঞ্জাল সাফ করবে বলে জানিয়েছেন সুজয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রতি দিন গড়ে ৩০টি ডাম্পার আবর্জনা তুলে ধাপায় ফেলে আসছে। আগে হাওড়ায় মোট ৬০টি ডাম্পার ও লরি বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলত। কিন্তু বিভিন্ন এজেন্সির পাঠানো আবর্জনা ফেলার গাড়িগুলির প্রায় ৫০ শতাংশই লজ্ঝড়ে হয়ে যাওয়ায় এবং অধিকাংশ গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সেগুলি কলকাতায় পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে রোজকার সমস্ত আবর্জনা ধাপায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুরসভার সাফাই বিভাগের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ধাপায় একটু ভাল গাড়ি পাঠাতে হচ্ছে এবং পুরো আবর্জনা ঢাকা দেওয়া থাকছে। কারণ, কলকাতায় হাওড়ার মতো আবর্জনা রাস্তায় ফেলতে ফেলতে নিয়ে যাওয়া যাবে না।’’
সুজয় জানিয়েছেন, বেলগাছিয়া ভাগাড়ও পরিষ্কার করা হবে। বায়োমাইনিং পদ্ধতিতে আবর্জনা সরানো হবে। সেই কাজের জন্য বছর দেড়েক লাগতে পারে।