বিধানসভায় পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরেই তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে যোগদান করেন সব্যসাচী দত্ত। ছিলেন ফিরহাদ হাকিমও। নিজস্ব চিত্র
বিধানসভায় সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। তবে সেই অভিযোগে বিশেষ আমল দিতে নারাজ রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভার মধ্যে আমরা যোগদান করাইনি। কেউ যদি তাঁর ঘরটাকে ব্যবহার করে, তখন সেই ঘরটা তাঁর। সেই ব্যক্তিই তখন ঠিক করেন ওই ঘরে যোগদান হবে কিনা। সেই ঘরে মাংস খাবেন না নিরামিষ খাবেন। ওই ঘরটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই ঘরে পার্থদাই ঠিক করবেন নিরামিষ খাবেন না আমিষ খাবেন।’’
বিধানসভায় ঘর ব্যবহারের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফিরহাদ বলেন,‘‘বিধানসভায় এমন অনেক ঘর আছে যেখানে নিরামিষ খাওয়া হয়। হয়তো নিরামিষ খাওয়া হয় শুভেন্দুর ঘরেই। আবার আমার ঘরে আমিষ খাওয়া হয়। আমার ঘরে কী হবে, তা আমি ঠিক করব। বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ স্পিকারের। সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরাও করি না। আমার ঘরে আমি কী করব না করব, তা অন্য কেউ ঠিক করে দিতে পারে না।’’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণের পরেই পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে এসে তৃণমূলে যোগদান করেন সব্যসাচী। তাঁর হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন পার্থ। ওই সময় সেই ঘরেই ছিলেন ফিরহাদ। শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কেরা বিধানসভায় আম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ করেন, নজিরবিহীন কায়দায় বিধানসভার মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও যোগদানের ঘটনাকে অবাঞ্ছিত ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনায় নিজের মতো করে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করলেন পরিবহণমন্ত্রী।