Firework

Fireworks Fair: সরকারি সহায়তায় হবে বন্ধ হতে চলা আতশবাজির মেলা

শনিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে বৈঠকের পর আতশবাজি মেলা হবে বলে জানিয়েছেন সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৫১
আতশবাজি মেলাটি হবে উত্তর কলকাতার সিঁথি সার্কাস ময়দানে।

আতশবাজি মেলাটি হবে উত্তর কলকাতার সিঁথি সার্কাস ময়দানে। ফাইল চিত্র

অর্থের অভাবে বন্ধ হতে চলা কলকাতার আতশবাজি মেলা আবারও করার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি। পুজোর আগে মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল তারা। কিন্তু শনিবার রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত বদল করেছেন আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির কর্মকর্তারা। তবে আগের মতো আর ধর্মতলার ময়দানে বসছে না বাজি বাজার। বদলে মেলাটি হবে উত্তর কলকাতার সিঁথি সার্কাস ময়দানে। শনিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকার সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানালেন সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। পাশাপাশি, বাজি বাজারের জন্য প্রয়োজনীয় দমকলের লাইসেন্সেরও অনুমতি দিয়েছে নবান্ন। এ বার ১-৫ নভেম্বর পর্যন্ত আতশবাজি মেলা হবে।

আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা বলেন, ‘‘ময়দানে আতশবাজির বাজার করতে গেলে বিরাট খরচ হত। সেনাবাহিনীকে অনেক টাকা ভাড়াও দিতে হত। তাই আমরা সেখানে বাজি বাজারের আয়োজন করতে পারছিলাম না। আমরা চেয়েছিলাম, রাজ্য সরকারই একটি জায়গা দিক, যেখানে এই মেলা করা যাবে। রাজ্য সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। এ বার রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আমরা সিঁথি সার্কাস ময়দানে ওই মেলা করব।’’ ১৯৯৮ সালে শুরু হয়েছিল এই মেলা। তার পর থেকেই দীপাবলি উৎসবের সাত দিন আগে কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে বসত আতশবাজির মেলা।

Advertisement

গত বছর অতিমারির দাপটে প্রথমে সেই মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের থেকে মেলা করার অনুমতি পায়। করোনা বিধি মেনে ৩০টি স্টল নিয়ে মেলা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আতশবাজি ব্যবসায়ীরা খরচের কারণে এই মেলার আয়োজন করতে পারছিলেন না। তাই এ বছর মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় বাজি বাজার হবে। ময়দানে মেলা করতে চেয়ে আবেদন করা হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। আবেদনে কোভিড পরিস্থিতির কথা ভেবে যেন এ বারের ভাড়া মকুব করার অনুরোধ রাখা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবেদনে সাড়া না পেয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হন আতশবাজি ব্যবসায়ীরা। শনিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি জায়গাও দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

আরও পড়ুন
Advertisement