প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহভর আনাজে হাত পোড়ার পর, এ বার নড়েচড়ে বসল রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। গত কয়েক দিন ধরে ইবি’র পরিদর্শকেরা কলকাতা ও তার লাগোয় বেশ কয়েকটি এলাকার পরিচিত বাজারে নিয়মিত অভিযান শুরু করেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার সেই অভিযানের ছায়া পড়ল কলকাতার লাগোয়া সল্টলেক-সহ বেশ কয়েকটি বাজার ও আনাজ-মান্ডিতে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে শনিবার ইবি’র বেশ কয়েকটি দল হানা দেয় সল্টলেকের অন্তত ৩টি বাজারে। এ দিন সকালে ইবি’র চার জন আধিকারিকের একটি দল সল্টলেকের জিডি, সিকে এবং করুণাময়ীর আশপাশে ফুটপাথ জুড়ে বসা অস্থায়ী বাজারে হানা দেয়। বিভিন্ন আনাজের দাম কত, কেনই বা তার ঊর্ধ্বগতি, বিক্রেতাদের কাছে তা নিয়ে জানতে চান তাঁরা।
ইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বালানির দাম হুহু করে বেড়ে যাওয়ার ফলেই তাঁদের বেশি দামে আনাজ কিনতে হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাকে বিভিন্ন জেলা কিংবা পড়শি রাজ্য থেকে যে আনাজ আসছে তা চড়া দামে কিনতে হওয়াই মুল্যবৃদ্ধির মূল কারণ
বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ফলে বহু মরসুমি আনাজ নষ্ট হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তার দামও বেড়েছে। ফলে কলকাতার খুচরো বাজারে আনাজে হাত ছোঁয়ালেই ছেঁকা লাগছে।
ছবিটা প্রায় একই জেলার বিভিন্ন বাজারেও। এ দিন হাওড়ার রাজাপুর, জগদীশপুর ও পাঁচলা এলাকার বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালায় জেলা পুলিশের ইবি। বিভিন্ন দোকানে জিনিসপত্রের দামের তালিকা দেখা হয়। এ ছাড়াও, ওষুধের দোকান এবং মনিহারি দোকানে শিশুখাদ্য বিক্রির বৈধ লাইসেন্স আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়। চিনা মাঞ্জা বিক্রি নিষিদ্ধ কোথাও সেই মাঞ্জা বা শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে কি না, তারও খোঁজখবর নেওয়া হয়।
শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের বড়হাট খুচরো বাজারে অভিযান চালায় জেলা কৃষি বিপণন দফতর ও ইবি। ক্রেতা সেজে ব্যবসায়ীদের কাছে আনাজের দাম জানতে চান তাঁরা। দাম বেশি মনে বিশদ খোঁজখবরও করেন। পরের ধাপে পাইকারি বাজারে খোঁজখবর নেওয়া হবে বলে কৃষি-কর্তারা জানান।
ইবি সূত্রের দাবি, উৎসবের মরসুমে যাতে আনাজ অবৈধ ভাবে মজুত করে দাম না-বাড়ানো হয় সে ব্যাপারেও নজর রাখতে আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে ইবি এবং কৃষি বিপণন দফতর এই অভিযান চালাবে।