Enforcement Directorate

সাতসকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দু’টি দলে ভাগ হয়ে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর সম্পত্তির খোঁজে ইডি

এর আগেও স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বার হানা চালিয়েছে ইডি। গ্রেফতারও করা হয়েছে একাধিক অভিযুক্তকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১০:১৮
Enforcement Directorate raids a house in Hooghly Bandel, allegedly link with arrested Expelled TMC leader Shantanu Banerjee.

এই বাড়িতেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। নিজস্ব চিত্র।

শনিবার সকাল থেকে আবারও অভিযান শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর ‌আধিকারিকরা। তবে এ বারের গন্তব্য কলকাতা পেরিয়ে হুগলির ব্যান্ডেল। ব্যান্ডেলের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে ব্যান্ডেলের বালিমোড়ের কাছে একটি বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি বলাগড় এবং ব্যান্ডেল চার্চের কাছেও কিছু জায়গায় হানা চালিয়েছে ইডি। এই জায়গাগুলির সঙ্গেও হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা শান্তনুর যোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

এর আগে স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বার হানা চালিয়েছে ইডি। গ্রেফতারও করা হয়েছে একাধিক অভিযুক্তকে। তবে সম্প্রতি ইডির নজরে হুগলি তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু এবং কুন্তল ঘোষ। দু’জনেই ইডির হাতে ধৃত। দু’জনের বিরুদ্ধেই নিয়োগের নাম করে বাজার থেকে টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগও উঠে এসেছে। দুই যুবনেতারই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুক্রবার শান্তনুর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ২০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ‘ফ্রিজ়’ করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, নজরে থাকা অ্যাকাউন্টগুলিতে সব মিলিয়ে ১ কোটি টাকারও বেশি গচ্ছিত রয়েছে। সেই টাকা কোথা থেকে এল, কোথায় গেল, কবে গেল, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

অন্য দিকে, কুন্তলের কাছ থেকে যথাক্রমে ৪৪ লক্ষ এবং ৫৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত এবং কুন্তল ঘনিষ্ঠ ‘নেল পার্লারে’র মালিক সোমা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যদিও দু’জনেই সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর।

কুন্তল এবং শান্তনুকে প্রায় প্রতিদিনই জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে ইডির অন্দরের খবর।

ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু দাবি করেছেন, কয়েক জন ‘প্রভাবশালী’র নির্দেশে ‘সব কাজ’ তিনি করেছেন। পাশাপাশি এ-ও দাবি করেছেন, নিয়োগকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কুন্তল। কুন্তলকে ‘প্রভাবশালী’র নির্দেশ কার্যকর করার দায়িত্বও তিনি দিতেন বলে দাবি করেছেন ধৃত যুবনেতা। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বর্ণিত ‘প্রভাবশালী’ কারা, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। শান্তনুর দাবির যথার্থতাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, দুই যুবনেতার কাছ থেকে প্রাপ্ত নতুন তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শনিবার সকালের এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন