নির্বাচন সদন। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর। —ফাইল চিত্র।
একই লোকসভা কেন্দ্রে পুলিশ আধিকারিকদের বদলি করা যাবে না। লোকসভা ভোটের আগে এই মর্মে দেশের সব রাজ্যকে নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি বেশ কিছু রাজ্যে নির্বাচনের সময় ঘুরপথে কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসে কমিশন।
শনিবার কমিশনের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, বদলির ক্ষেত্রে পুলিশ আধিকারিকদের একই লোকসভা কেন্দ্রে পাঠাতে পারবে না রাজ্যগুলি। দেশের লোকসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস হওয়ার পর অনেক আসনই দুই বা ততোধিক জেলার অংশ নিয়ে তৈরি হয়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য প্রশাসনের পছন্দসই পুলিশ আধিকারিকদের অন্য জেলায় বদলি করা হলেও তাঁরা একই লোকসভায় রয়ে যাচ্ছেন।
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক নিজেদের জেলাতেই কোনও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকেন কিংবা নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় একটানা তিন বছর চাকরি করে ফেলেন, তাঁদের অন্য জেলায় বদলি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যে পুলিশ আধিকারিকেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে নির্বাচনী কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়।
অভিযোগ, কমিশনের নিয়মবিধির ফাঁক গলে পছন্দের আধিকারিকদের একই লোকসভা কেন্দ্রে রেখে দেয় রাজ্যগুলি। একাধিক জেলা নিয়ে গঠিত লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে অন্য জেলায় বদলি হয়েও বহাল তবিয়তে একই লোকসভায় রয়ে যান তাঁরা। এ বার যে এই ধরনের ‘নিয়মভঙ্গের’ সঙ্গে আপস করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। কমিশনের যুক্তি, এই ধরনের নিয়মভঙ্গ হলে, কোনও একটি দল বা পক্ষকে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হয়। তবে কমিশনের এই নিয়মবিধির বাইরে রাখা হয়েছে সেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে, যেগুলিতে সর্বোচ্চ দু’টি লোকসভা আসন রয়েছে।
আগামী ৩ মার্চ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগে শনিবার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সব জেলাশাসক (ডিএম) এবং পুলিশ সুপার (এসপি)-দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। তিনি ডিএম, এসপিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। অভিযোগ পেলেও দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়। লোকসভা ভোটের আগে চলতি মাসেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ চলে আসতে পারে বলে খবর।