Anubrata Mondal

গ্রেফতার হয়েছেন আগেই, এ বার ইডির চার্জশিটেও নাম অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার

ইডির চার্জশিটে রয়েছে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ২০:৩২
image of Anubrata Mondal, sukanya Mandal

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (বাঁ দিকে), তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (ডান দিকে) বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। — ফাইল ছবি।

গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযু্ক্ত হিসাবে তিন জনেরই নাম রয়েছে চার্জশিটে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিরও।

ইডির চার্জশিটে রয়েছে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত। সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুকন্যা। ভোলেব্যোম রাইস মিলের অংশীদারও ছিলেন তিনি।

Advertisement

অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ— তিন জনই এখন গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। গত ২৬ এপ্রিল ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেছিলেন। তার পরেই ওই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় সাড়ে আট মাস আগে, গত বছরের ১১ অগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। তাঁকে তখন গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তিনি ইডির হাতে গ্রেফতার হন।

গত বছরের অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই সময় বিপুল সম্পত্তি নিয়ে কেষ্ট-কন্যাকে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তদন্তকারীদের তিনি সদুত্তর দেননি। জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভেবেছে ইডি।

আরও পড়ুন
Advertisement