৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। —ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আট কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি প্রাথমিক ভাবে বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ই়ডি)। ওই সম্পত্তিগুলি নিয়োগ মামলার দুই অভিযুক্ত নীলাদ্রি দাস এবং আব্দুল খালেকের সঙ্গে সম্পর্কিত। মালদহ এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে ওই সম্পত্তিগুলি সম্প্রতি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মালদহ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে কিছু জমি এবং ভবন। নয়ডা থেকে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
ইডি এবং সিবিআই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। আব্দুল এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অন্যতম ‘এজেন্ট’ বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। অপর দিকে ‘নাইসা’ নামে এক সংস্থার আধিকারিক ছিলেন নীলাদ্রি। নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার দায়িত্ব ছিল এই সংস্থার উপর। তাঁর বিরুদ্ধে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) বিকৃত করা এবং নম্বর হেরফের করার অভিযোগ ওঠে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৫ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন নীলাদ্রি। নাইসার আধিকারিক পদে থেকেও নীলাদ্রি ২০১৫ সালেই উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ‘এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে অন্য একটি সংস্থা খুলেছিলেন। ওই সংস্থার মাধ্যমেও ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্রের নম্বর বিকৃত করা হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
নীলাদ্রি এবং আব্দুলের সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইডি। সেখানে ইডি জানিয়েছে, এসএসসির তৎকালীন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে উত্তরপত্রের নম্বর কারচুপিতে নীলাদ্রির যোগ পাওয়া গিয়েছে। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অপর অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে বেআইনি ভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ ইডির। এই ভাবে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
বস্তুত, এই মামলার তদন্তে আগেই ২৩০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এ বার আরও আট কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য ২৩৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।