ED Raids

এ তো অন্য সন্দীপ! ১০০ দিনের কাজের ‘দুর্নীতি’ খুঁজতে গিয়ে ভুল বাড়িতে হানা দিল ইডি! তার পর?

মঙ্গলবার নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে জনৈক সন্দীপ সাধুখাঁর সন্ধানও পান তদন্তকারীরা। কিন্তু তল্লাশি শুরু হওয়ার আগেই ইডি বুঝতে পারে, তারা যে সন্দীপকে খুঁজছে, ইনি সেই সন্দীপ নন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:১৫
ED mistakenly went to a wrong address in Hooghly during ongoing probe on Tuesday

ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। মঙ্গলবার সকালে হুগলির চুঁচুড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে ‘দুর্নীতি’র তদন্তে ফের সক্রিয় হয়েছে ইডি। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের চার জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকেরা। এই চার জায়গার মধ্যে ছিল হুগলির চুঁচুড়ার ময়নাডাঙা এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িও। কিন্তু সেখানে গিয়ে ভুল ভাঙল ইডি আধিকারিকদের। ভুল ভাঙতেই গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।

Advertisement

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’র তদন্তে সন্দীপ সাধুখাঁ নামের এক ব্যবসায়ীকে খুঁজছিল তারা। পেশায় একটি লজেন্স কারখানার মালিক ওই ব্যবসায়ীর খোঁজেই চুঁচুড়ায় পৌঁছয় ইডির দল। সেই ঠিকানায় গিয়ে সন্দীপের সন্ধানও পান তদন্তকারীরা। কিন্তু তল্লাশি শুরু হওয়ার আগেই ইডি আধিকারিকেরা বুঝতে পারেন, তাঁরা যে সন্দীপকে খুঁজছেন, ইনি সেই সন্দীপ নন। নাম আর পদবি হুবহু এক হওয়াতেই এই বিভ্রান্তি বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। ভুল ভাঙতেই গাড়ি ঘুরিয়ে ‘আসল’ সন্দীপের ঠিকানায় রওনা দেন তদন্তকারীরা।

‘নকল’ সন্দীপ সাধুখাঁর ছেলে শুভদীপ সাধুখাঁ জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে সিআরপিএফ দেখে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। পরে ইডি আধিকারিকেরা জানান, তাঁদের ভুল হয়েছে। ইডির এই ভুলের জন্য তাঁদের সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সন্দীপ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আসল’ সন্দীপের খোঁজে হুগলি জেলারই ধনেখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ইডি। মাঝে রাস্তায় সিঙ্গুরের কাছে গাড়ি থেকে নেমে চা খান ইডি আধিকারিকেরা।

মঙ্গলবার সকালে একসঙ্গে রাজ্যের চার জায়গায় হানা দেয় ইডি। তল্লাশি শুরু হয় সল্টলেকের একটি আবাসন, ঝাড়গ্রামের একটি সরকারি আবাসন, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক পঞ্চায়েত কর্তার বাড়ি এবং হুগলির এই সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতে। ইডি সূত্রে জানা যায়, ১০০ দিনের কাজের ‘দুর্নীতি’র তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, আগেই এই দুর্নীতির বিষয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় দু’টি এবং হুগলির ধনেখালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য থানায় দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। মোট পাঁচটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ইডি। প্রসঙ্গত, এই প্রথম এই বিষয়ের তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

আরও পড়ুন
Advertisement