R G Kar Movement

জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া পরিক্রমা’র মিনিডোর চাঁদনি চকে আটকাল পুলিশ, নিয়ে যাওয়া হল মানববন্ধন করে

জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া পরিক্রমা’র পুলিশ আটকে দেওয়ায় তুমুল উত্তেজনা চাঁদনি চকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। জখমও হয়েছেন এক মহিলা পুলিশকর্মী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪৩
Police blocked the \\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'Abhaya Parikrama minidoor of junior doctors at Chandni Chowk

চাঁদনি চকে ‘অভয়া পরিক্রমা’র মিনিডোর আটকাল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া পরিক্রমা’র মানববন্ধন পুলিশ আটকে দেওয়ায় তুমুল উত্তেজনা চাঁদনি চকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। জখমও হয়েছেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। শেষমেশ মিনিডোরগুলিকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে মানববন্ধন করে ধর্মতলার দিকে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।

Advertisement

মঙ্গলবারই ‘অভয়া পরিক্রমা’র কর্মসূচি নিয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। কর্মসূচি হল— মিনিডোরে করে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার ‘প্রতীকী মূর্তি’ নিয়ে পুজোমণ্ডপে ঘুরবেন তাঁরা। সেই মতোই বুধবার মিনিডোর আনা হচ্ছিল ধর্মতলার অনশন মঞ্চে। কিন্তু চাঁদনি চকের কাছে ওই মিনিডোর আটকে দেয় পুলিশ। সেই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের মিনিডোর আটকানোর খবর পাওয়া মাত্রই অনশন মঞ্চের সামনে থাকা জুনিয়র ডাক্তারের ছুটে যান ঘটনাস্থলে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। পুলিশের দাবি, ‘অনুমতি’ না থাকায় মিনিডোর আটকেছেন তাঁরা। পাল্টা জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, তাঁদের ভাড়া করা মিনিডোর অবৈধ ভাবে আটকে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের বচসা, ধস্তাধস্তির সময় পথচলতি প্রচুর সাধারণ মানু‌ষও জড়ো হন সেখানে। এই ঘটনার জেরে পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায় শ্যামবাজারমুখী সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। যান চলাচল ব্যাহত হয় উল্টো দিকের রাস্তাতেও। শেষমেশ পুলিশের হাত থেকে মিনিডোর ছাড়িয়ে নেন আন্দোলনকারীরা। মানববন্ধন করে মিনিডোর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মিছিলও করেন আন্দোলনকারীরা। স্লোগান ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে।

জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে জখম হন হেয়ার স্ট্রিট থানার অতিরিক্ত ওসি শ্রাবন্তী ঘোষ। অভিযোগ, তাঁর হাত মুচড়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পরে পাশের একটি দোকান থেকে বরফ এনে তাঁর হাতে লাগানো হয়। শ্রাবন্তী বলেন, ‘‘ভাবতে পারিনি এ ভাবে মারবে!’’ ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গোলমাল বেধেছে ধর্মতলাতেও। সেখানে প্রবল যানজট তৈরি হওয়ায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বহু মানুষ। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে লেনিন সরণির মুখে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িচালকদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়েছে। যার ফলে তাঁরা গাড়ি নিয়ে এগোতে পারছেন না।

আন্দোলনকারীরা অবশ্য যানজট এড়িয়েই মিনিডোর নিয়ে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে পৌঁছন। সেখানেই জমায়েত করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement