Calcutta High Court

মহার্ঘ ভাতা ন্যায়সঙ্গত অধিকার মেনেও হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার যুক্তি সাজাল রাজ্য

বকেয়া ডিএ না-মেটানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হল, রোপা রুল অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:১৬
শুক্রবার ডিএ পুনর্বিবেচনা মামলার পরবর্তী শুনানি

শুক্রবার ডিএ পুনর্বিবেচনা মামলার পরবর্তী শুনানি

মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। ডিএ পুনর্বিবেচনা মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে এ কথা মেনে নিল রাজ্য সরকার। বকেয়া ডিএ না-মেটানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হল, রোপা রুল অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া নিয়ে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।

তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই তিন মাসের সময়সীমা ছিল ১৯ অগস্ট পর্যন্ত। তারই মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। রায় কার্যকর না-হওয়ায় সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলিও রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে। এই দুই মামলায় একসঙ্গে ওঠে আদালতে। তার ভিত্তিতে বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, খুব বেশি পুনর্বিবেচনা করার জায়গা নেই। তা উনিশ-বিশই হতে পারে। তার পরেও বৃহস্পতিবার রাজ্যের পক্ষ থেকে এজি আদালতে জানান, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। ২০০৯ সালে রোপা রুল অনুযায়ী ১৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার কথা সরকারি কর্মচারীদের। তা ইতিমধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এজি বলেন, ‘‘ডিএ সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। তবে রোপা রুল অনুযায়ী ওই ১৬ শতাংশ ডিএ-ই ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করছে রাজ্য।’’ যদিও এজির এই সওয়ালে সন্তুষ্ট হয়নি ডিভিশন বে়ঞ্চ। বিচারপতি সামন্ত বলেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার কথা। ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে এই সমস্ত বিষয়ই নজরে রেখেছে। তার পরও রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন আদৌ গ্রহণযোগ্য হতে পারে?’’ বিচারপতি টন্ডন বলেন, ‘‘রায় নিয়ে রাজ্যের আপত্তি থাকলে তারা আরও উচ্চ ফোরামে (সুপ্রিম কোর্ট) যেতে পারত। কিন্তু তা ঘটেনি।’’

বৃহস্পতিবার শুধু রাজ্যের পক্ষ থেকেই সওয়াল করা হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে মামলাকারীরা অর্থাৎ, সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে।

আরও পড়ুন
Advertisement