ED Attacked in Sandeshkhali

সন্দেশখালি ও শাহজাহান নিয়ে কী কথা হল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে? জানালেন রাজ্যপাল

বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিক এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৪
বোসের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিক এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।

বোসের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিক এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

সন্দেশখালির ঘটনা এব‌ং অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে খুঁজে বার করা নিয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে, সে ব্যাপারে রাজভবনকে অবগত করা হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে বোসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিক এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে তাঁরা সবিস্তার তথ্য দিয়েছেন বলে জানালেন রাজ্যপাল। তবে তদন্তের স্বার্থে বৈঠকের বিষয়টি গোপন রাখতে চাইলেন তিনি।

Advertisement

শুক্রবার রাজ্যপাল বলেন, ‘‘ওই ঘটনা নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানানো হয়েছে আমাকে। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারে দেরি নিয়েও রাজ্য আমাকে জানিয়েছে। যে হেতু তদন্ত চলছে, বিষয়টি গোপন রাখতে চাই।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো নিয়েও কোনও কথা বলতে চাননি আনন্দ বোস। তাঁর আশা, সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং তা বিশ্লেষণ করে নবান্ন উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।

সন্দেশখালির ঘটনার পর বিবৃতি দিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন রাজ্যপাল। ‘ফল ভুগতে হবে’ বলে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। আনন্দ বোস বার্তা দিয়েছিলেন, সংবিধানের অবমাননা করা হলে রাজ্যপাল হিসাবে তিনি উপযুক্ত সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ করবেন। এর পর গত শুক্রবার মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেছিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও। সেই তলবের ছ’দিন পর বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব রাজভবনে যান।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ ইডি আধিকারিকের একটি দল। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল। ইডি সূত্রে জানা যায়, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তের জন্য সেই হানা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির দিকে তাঁরা যাওয়ার চেষ্টা করলে রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীদের একাংশ। অভিযোগ, তাঁরা শাহজাহানের অনুগামী। ইডি আধিকারিকেরা তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাননি। এর পরেই তাঁরা দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। এর পর ইডি আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িতে। সেই সময়েই তিন আধিকারিক জখম হন বলে খবর। তাঁদের সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন