CPM

দক্ষিণের জট ছাড়াতে ভাবনায় আলিমুদ্দিন

সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে নতুন কমিটি গঠন ঘিরে বিবাদ এ বার পৌঁছেছে চড়া মাত্রায়। বিষ্ণুপুর আমতলায় দলের ২৬তম জেলা সম্মেলনের শেষ দিনে ৬৫ জনের জেলা কমিটির যে প্যানেল পেশ হয়েছিল, তা নিয়েই ঘোরালো হয়েছে সমস্যা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৬

— প্রতীকী চিত্র।

সম্মেলনের কক্ষে কোনও বার্তায় কোনও কাজ হয়নি। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটিতে সঙ্কট নিরসনে ফের উদ্যোগী হতে চলেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

Advertisement

সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে নতুন কমিটি গঠন ঘিরে বিবাদ এ বার পৌঁছেছে চড়া মাত্রায়। বিষ্ণুপুর আমতলায় দলের ২৬তম জেলা সম্মেলনের শেষ দিনে ৬৫ জনের জেলা কমিটির যে প্যানেল পেশ হয়েছিল, তা নিয়েই ঘোরালো হয়েছে সমস্যা। সর্বক্ষণের কর্মী পাঁচ জন তরুণ নেতৃত্ব ও এক জন বর্ষীয়ান নেতাকে বাদ দেওয়া এবং ৯ জনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের একাংশ। যে সময়ে সিপিএম সর্বস্তরের কমিটিতে নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর নীতি নিয়েছে, সেখানে জেলার এসএফআই সম্পাদক, ডিওয়াইএফআইয়ের সভাপতি-সহ তরুণ নেতারা কমিটি থেকে বাদ যাচ্ছেন কী ভাবে— এই প্রশ্নে ‘বিদ্রোহ’ করে জেলার প্যানেল থেকে নাম তুলে নিয়েছেন ১৮ জন। তার মধ্যে আছেন প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শান্তিময় ভট্টাচার্যের কন্যা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীও। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে সম্মেলনে উপস্থিত শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, কল্লোল মজুমদার, পলাশ দাসেরা চেষ্টা করেও বিবাদ সামাল দিতে পারেননি। আপাতত ৪৮ জনকে নিয়েই তৈরি হয়েছে জেলা কমিটি। সম্মেলনে জেলা সম্পাদক হয়েছেন রতন বাগচীই। দলীয় সূত্রের খবর, এর পরে সব পক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি বসে মীমাংসা-সূত্র বার করার পরিকল্পনা নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব।

দলের রীতি মেনে, নতুন জেলা কমিটিতে থাকা পুরনো সম্পাদকমণ্ডলীর ৭ জন সদস্যই আপাতত কাজ চালাবেন। পার্টি কংগ্রেসের পরে নতুন জেলা সম্পাদকমণ্ডলী তৈরি হবে। তবে তার আগেই অন্যান্য জেলা সম্মেলনের ফাঁকে দক্ষিণের সমস্যা মেটাতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সূত্রের খবর, রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম নিজেই জট কাটাতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। ইতিমধ্যেই তিনি গোলমালের বিষয়ে খোঁজখবর করেছেন। একেই দুর্বল হয়ে যাওয়া জেলায় নতুন কমিটি দলকে আরও দুর্বল করতে পারে বলে সরব হয়েছেন দলের নেতৃত্বের একাংশ। তবে নতুন জেলা কমিটির বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার জট খুলতে হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৯৮৮ সালের পরে এমন গোলযোগ আর হয়েছে বলে মনে পড়ে না! জেলা সম্পাদক নির্বাচন ঘিরে একটা সমস্যা হয়েছিল ২০১০ সালে, রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে মিটেও গিয়েছিল।’’

Advertisement
আরও পড়ুন