অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পরিচালক অরুণ রায়। ছবি: সংগৃহীত।
ফের অসুস্থ পরিচালক অরুণ রায়। এ বার ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি আরজি কর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে পরিচালককে ভর্তি করানো হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়নি। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
খাদ্যনালীর ক্যানসারে আক্রান্ত অরুণ। গত এক বছরেরও বেশি সময় তিনি লড়াই চালাচ্ছেন মারণ রোগের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর মনোবল কমেনি। বরং, একটু সুস্থ হলেই ছবি পরিচালনার স্বপ্ন দেখেছেন। শোনা যাচ্ছে, এ বারও তাঁর মনের জোর অটুট। তবে শরীর দুর্বল। ফলে, যে কোনও সংক্রমণ সহজেই থাবা বসাতে পারছে। আনন্দবাজার অনলাইন সবিস্তার জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলতে চাননি। অসুস্থ পরিচালকের ফোন বন্ধ।
চলতি বছরের মে মাসে শোনা যাচ্ছিল, অরুণ নাকি তাঁর পরের ছবির প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পরিচালকের আগামী ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই চরিত্রেও নাকি দেখা যেতে পারে দেবকে। সেই সময় আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। অরুণের কথায়, ‘‘খাদ্যনালিতে ক্যানসার ধরা পড়েছে। এখনও সম্পূ্র্ণ সুস্থ হইনি। তরল খাবার ছাড়া কিছুই খেতে পারছি না। ফলে, এখনই ছবি পরিচালনা নিয়ে কথা বলার অবস্থায় নেই।’’
‘চোলাই’-এর মতো রাজনীতিমনস্ক ছবি রয়েছে অরুণের ঝুলিতে। বাংলার রাজনীতি ছবির পরতে পরতে জড়িয়ে থাকায় ছবিটি বেশি দিন প্রেক্ষাগৃহে চলেনি। শোনা যায়, বেশ কিছু দিন নাকি পরিচালকও কাজ করতে পারেননি। তাঁকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সম্ভবত তার পর থেকেই তিনি ছবির ধারা বদলেছেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অরুণের বক্তব্য, ‘‘বাংলা গড়তে অতীতে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁদের কথা সে ভাবে বলা হয় না। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাঁদের আদর্শ, কাজ, ভাবনা তুলে ধরা দরকার। আমি সেই কাজটিই করছি। আমার স্বাদেশিকতা ভাল লাগে। তাই বাঘা যতীনকে নিয়েও ছবি করেছি। এ ভাবেই অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের সামনে আনছি। ভয় পেয়ে বা অন্য কোনও কারণে নয়।’’