দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্য জুড়ে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই! গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ফের হাজারের কাছে পৌঁছেছে। এই নিয়ে টানা তিন দিন। কলকাতার বাসিন্দাদের মধ্যেও উদ্বেগজনক ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। শহর লাগোয়া জেলাগুলির মধ্যে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ এবং নদিয়ার করোনা পরিসংখ্যানও স্বাস্থ্যকর্তাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃতের সংখ্যা কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। বেড়েছে টিকাকরণ এবং কোভিড পরীক্ষাও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮২ জন। প্রসঙ্গত, বুধ এবং বৃহস্পতিবার— দু’দিনের বুলেটিনেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি করে ছিল।
দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্য জুড়ে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কাকে সত্যি করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে কলকাতার সংক্রমণও। পাশাপাশি, শহরের আশপাশে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়ও দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার ২৭৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় আরও ১৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক দিনে ৮৩ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। হুগলি, হাওড়া এবং নদিয়ায় নতুন আক্রান্ত যথাক্রমে ৭৯, ৭৩ ও ৫৭। সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় কমবেশি নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ২২৩। তবে আগের দিনের (৮,১০৯) থেকে তা বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জনের পাশাপাশি কলকাতা, হুগলি, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর এবং নদিয়ায় ১ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১৯ হাজার ১১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এ রাজ্যে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা আগের দিনের থেকে বেড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ৮ লক্ষ ২০ হাজার ৩১৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, দৈনিক কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ১৭টি। সংক্রমণের দৈনিক হার ২ শতাংশ।