Waterlogged Situation

প্লাবিত এলাকাগুলিতে কী পরিস্থিতি? দলীয় নেতাদের ঘুরে ঘুরে পরিদর্শনের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কোথাও চাষের জমিতে জল প্রবেশ করেছে। কোথাও রাস্তাঘাট ডুবে গিয়েছে। কোথাও আবার নেমেছে ডিঙি। অনেক জায়গায় বাড়িগুলিও আংশিক জলের তলায়। সব দিকেই নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৬
প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নজর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কোথায় কী পরিস্থিতি, তা সরেজমিনে দেখার জন্য বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জলমগ্ন এলাকাগুলিতে দুর্গতদের পাশে থাকার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে পৌঁছে যান শাসকদলের নেতারা। সোমবার হুগলি জেলায় এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ঘাটালের জলমগ্ন এলাকাগুলির পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছেন সাংসদ দেবও।

Advertisement

সোমবার দুপুরে হুগলির আরামবাগে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বেচারাম। আরামবাগের কালিকাপুর এলাকায় একটি ত্রাণশিবির থেকে দুর্গত মানুষদের হাতে ত্রিপল ও অন্য ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন মন্ত্রী। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে আরামবাগের জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শনের পর বেচারাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আরামবাগ পুরসভার প্রায় ১০টি ওয়ার্ড এবং আরামবাগ প়ঞ্চায়েত সমিতির প্রায় সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত, খানাকুলে আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং গোঘাটেও সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত জলমগ্ন।

(বাঁ দিকে) ঘাটালে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে দেব এবং আরামবাগে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে বেচারাম মান্না (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ঘাটালে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে দেব এবং আরামবাগে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে বেচারাম মান্না (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় স্কুল ও সুবিধা মতো অন্য জায়গায় আশ্রয় শিবির চালু করা হয়েছে। বেচারাম আশ্বস্ত করেছেন, পর্যাপ্ত ত্রিপল ও জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে স্পিড বোটও। এলাকার জলমগ্ন পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে মু‌খ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বনগাঁর লোকসভা এলাকার জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বনগাঁয় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সোমবার বিকেলে ঘাটালের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দেবও। তিনি বলেন, “আমার ঘাটাল জলে ভাসছে। মানুষ কষ্টের মধ্যে আছেন। কত মানুষের ঘর ভেঙে যাচ্ছে।” সাংসদ জানালেন, দুর্যোগপূর্ণ সময়ে মানুষ যাতে পরিষেবা ঠিকঠাক পান সেটিই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

নিম্নচাপের জেরে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে গত কয়েক দিনে। তার জেরে বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোথাও চাষের জমিতে জল প্রবেশ করেছে। কোথাও রাস্তাঘাট ডুবে গিয়েছে। কোথাও আবার নেমেছে ডিঙি। অনেক জায়গায় বাড়িগুলিও আংশিক জলের তলায়। কোথাও কোথাও নদীবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব দিকেই নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং দলীয় নেতাদের সেই মতো পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement