Basirhat Body Recover Case

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, ইছামতীর চরে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ! শোরগোল বসিরহাটে

সোমবার রাতে বাদুড়িয়া থানার বাজিতপুর এলাকায় ইছামতী নদীর চরে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। দেহটি পাঠানো হয় বসিরহাট পুলিশ মর্গে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১৭
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

টিউশন নিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি মেয়ে। প্রায় এক মাস পরে ইছামতীর চরে একটি পচাগলা উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। তার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সংগ্রামপুরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার রাতে বাদুড়িয়া থানার বাজিতপুর এলাকায় ইছামতী নদীর চরে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। দেহটি পাঠানো হয় বসিরহাট পুলিশ মর্গে। মৃতার পরনের পোশাক দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারা একটি পরিবারকে খবর পাঠায়। বস্তুত, গত ১ মার্চ বসিরহাট থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়। অভিযোগ, নবম শ্রেণির ছাত্রী টিউশন নিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। রাস্তা এবং এলাকায় থাকা বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। কিন্তু নাবালিকার সন্ধান মেলেনি। তবে নিখোঁজের দিন মেয়েটির যে বিবরণ এবং পরনের পোশাকের বর্ণনা দেওয়া হয়, মৃতার সঙ্গে তার কিছু মিল থাকায় খবর দেওয়া হয় সেই পরিবারে। ঘটনাক্রমে মঙ্গলবার সেই নাবালিকার পরিবার বসিরহাট হাসপাতালের পুলিশ মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে। তারা জানায়, মৃতা তাদেরই বাড়ির মেয়ে।

নাবালিকার বাবার দাবি, গত ১ মার্চ রাতে টিউশন নিয়ে বাড়ি ফেরার পর মায়ের সঙ্গে অল্পবিস্তর বাদানুবাদ হয় মেয়ের। তার পর মেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে তার খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। তখন পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সোমবার নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, ‘‘রাস্তায় একা পেয়ে মেয়েকে দুষ্কৃতীরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। ওকে কিছু দিন আটকে রাখা হয়েছিল। ধর্ষণের পর খুন করে দেহ লোপাটের জন্য নদীর চরে পুঁতে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।’’ তাঁর আরও দাবি, ওই দিন যদি ঘটনা ঘটত, তা হলে দু’-একদিনের মধ্যে মেয়ের দেহ পাওয়া যেত। কিন্তু এক মাস পর হঠাৎ বাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে নদীর চরে মেয়ের দেহ মিলেছে। তাই কয়েক দিনের মধ্যে খুন হয়েছে মেয়ে বলে অভিযোগ বাবার। তাঁর দাবি, দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করুক পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার জোয়ারের পর নদীর চরে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে উদ্ধারকাজে যায় পুলিশ। অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন