আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। ফাইল চিত্র।
সিঙ্গুর থেকে রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের রতনপুরের প্রশাসনিক জনসভা থেকে এই প্রকল্পের পথ চলা শুরু হবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট পেশের সময় এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর ওই ঘোষণা মতোই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নার বিধানসভা কেন্দ্র সিঙ্গুরে এই অনুষ্ঠানটি হবে। তাই দফায় দফায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। প্রস্তুতিতে যাতে কোনও রকম খামতি না থাকে, তাই জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বার বার কথা বলেছেন তিনি। তবে প্রকল্প নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম। মঙ্গলবার প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তাই প্রকল্প প্রসঙ্গে কোনও কথা বলছেন না রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী।
হুগলির সিঙ্গুর থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রাস্তাশ্রী-পথশ্রীর কাজ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজে টাকা না দেওয়ার প্রেক্ষিতে পাল্টা এই প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার, এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। এই প্রকল্পে মোট ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন রাজ্যের ১০ লক্ষ জবকার্ডধারীরা। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ১০০ দিনের প্রকল্পের অর্থ দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তা সত্ত্বেও ১০০ দিনের জবকার্ডধারীরা যাতে কাজ পান, সেই লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন। ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে পঞ্চায়েত দফতর। তবে এই প্রকল্প শুরু নিয়ে রাজনীতির কারবারীদের একাংশ মনে করছে, আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। গত জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শাসকদলের নেতারা রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে গ্রামীণ জনতার ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ক্ষোভে প্রলেপ দিতেই গ্রামীন রাস্তার উন্নয়ন চাইছেন মমতা। তাই এই বৃহৎ প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে।