TMC leader Firhad Hakim

ববির গলায় রবির কবিতা, চণ্ডীদাসের বাণী, নেত্রী কণ্ঠ ‘রুদ্ধ’ করার বার্তা দিলেও মাঝেমধ্যে এত ঝাঁজ কেন?

ফিরহাদ তৃণমূলের দুর্দিনের সৈনিক, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু নেতা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মেয়রও বটে। একইসঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আস্থাভাজন’।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১১:২৫
Why TMC leader Firhad Hakim\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s some comments seems to reverse of party policy

ববি কেন এ ভাবে মুখ খুলছেন? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সপ্তাহখানেক আগেই তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল, ‘‘কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সঙ্গীতহারা..।’’ সঙ্গে আবেদন, ‘‘কর্পোরেশন নিয়ে বলুন, বলছি। অন্য কিছু নয়। ওনলি কর্পোরেশন।’’

তার এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি আবার ‘স্বমেজাজে’। ফিরহাদ হাকিমের হলটা কী?

Advertisement

তিনি তৃণমূলের দুর্দিনের সৈনিক, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু নেতা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মেয়রও বটে। একইসঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আস্থাভাজন’। দলনেত্রীর বারণ মেনেই তিনি প্রাথমিক ভাবে নীরবতা অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই তোপ দেগে বসেছেন তাঁর মন্ত্রিসভার সতীর্থ উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে! তা-ও আবার এমন একটি বিষয়ে, যা নিয়ে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছে তাঁরই দল। বাম আমলে ‘চিরকুট’ দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে চাকরি হয়েছে— আপাতত সেই বিষয়ে পূর্বতম বাম সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছে বর্তমান শাসকদল। যার সূচনা করেছিলেন মমতা স্বয়ং। তার পরে একে একে মুখ খুলেছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং দুই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর উদয়ন। এর মধ্যে উদয়নকে নিয়ে যথেষ্ট ‘আক্রমণাত্মক’ বক্তব্য পেশ করেছেন ফিরহাদ (ববি) হাকিম।

তিনি কি হঠাৎই প্রগলভ হয়ে উঠেছেন? নাকি তাঁর এই সমস্ত বক্তব্যই ‘পরিকল্পিত’? তৃণমূলের অন্দরে এখন সেই আলোচনাই চলছে। অনেকেই বলেছেন, মমতার নিষেধ মেনে পুরসভা ছাড়া অন্য বিষয়ে নীরব থাকতে পারতেন ববি। আবার অনেকে বলছেন, পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে ববি পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নিজের অভিমত পেশ করেছেন। তৃতীয় একটি অভিমত হল, ববি যা করছেন, সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘রাজনীতিতে আসল হল সময়। দেখতে হবে, ববি এই সময়টা কেন বেছে নিল।’’

গত ১৭ মার্চ কালীঘাটে দলের বৈঠকে ববিকে পুরসভা ছাড়া অন্য বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটার বার্তা দিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা। বলেছিলেন, ববি বাড়তি কথা বলছেন। সমস্ত বিষয়ে তাঁর বলার প্রয়োজন নেই। পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র যেন শুধু পুরসভা নিয়েই কথা বলেন। তার বাইরে কিছু নিয়ে বলতে হলে মমতার থেকে জেনে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, মমতার বার্তার আগে ববির সঙ্গে দু’টি ক্ষেত্রে দলের ‘মতান্তর’ তৈরি হয়েছিল। প্রথমটি ছিল দলের মুখপাত্র কুণালের সঙ্গে। কংগ্রেসের আইনজীবী-নেতা কৌস্তুভ বাগচীকে গ্রেফতারের পরে সেটা ‘ঠিক হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। পাল্টা ‘ঠিকই হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ববি। একই দলের পরস্পরবিরোধী দুই বক্তব্য নিয়ে আসরে নেমেছিল বিরোধীরা। তার পরেও ববি মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আন্দোলন চলছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি নিয়ে মমতা ছাড়া দলের কেউ বিশেষ মুখ খোলেননি। কিন্তু কিছুটা আগ বাড়িয়েই সুর চড়িয়েছিলেন ববি। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘না পোষালে ছেড়ে দিন। কেন্দ্রের হারে ডিএ পেতে হলে রাজ্যের চাকরি ছেড়ে কেন্দ্রের চাকরি করুন।’’ তৃণমূলের অন্দরের খবর, ওই ‘চড়া সুরে’ অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক শিবিরে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, তার পরেই ববির মুখে লাগাম পরানোর কথা ভাবেন দলের শীর্ষনেতৃত্ব। সেই মতো তাঁকে প্রকাশ্যেই বার্তা দেন স্বয়ং দলনেত্রী। ফি শনিবার কলকাতা পুরসভায় ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি করেন ববি। প্রথমে কলকাতাবাসীর অভিযোগ শোনেন। তার পরে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের উত্তর দেন। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১৮ মার্চ। তার আগের দিনই দলনেত্রী তাঁকে পুরসভা ছাড়া অন্য বিষয়ে ‘চুপ’ থাকতে বলেছিলেন। তাই সে দিন পুরসভায় ‘অন্য’ প্রশ্ন শুনেই ববি বলেছিলেন, ‘‘কর্পোরেশন নিয়ে বলুন, বলছি। অন্য কিছু না। অনলি কর্পোরেশন।’’ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি নেত্রীর নির্দেশ ভাঙতে পারবেন না। সেই বক্তব্যের সঙ্গেই রবীন্দ্রনাথের ‘প্রশ্ন’ কবিতা আউড়ে বলেছিলেন, ‘‘কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সঙ্গীতহারা...।’’

কিন্তু এক সপ্তাহ পর ২৫ মার্চের ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে আবার পুরসভার বাইরের একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন ববি। বাম আমলের মন্ত্রী তথা তাঁর প্রয়াত পিতা কমল গুহের সময়ে চাকরি সংক্রান্ত ‘দুর্নীতি’র কথা বলেছিলেন উদয়ন। সেই বক্তব্য সম্পর্কে ববি বলে দেন, ‘‘ও কী পাগলের মতো বকছে, আমার জানা নেই! এটা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্যই নেই। কারণ, চিরকুটে কোনও দিন লোক ঢোকানো যায় না। একটা আবেদনপত্র লাগে।’’

ওইদিনই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের একটি বক্তব্যেরও সরাসরি সমালোচনা করেন ববি। জ্যোতিপ্রিয় বলেছিলেন, ‘‘সিপিএম বীভৎস, ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক দল। আমি ২০১১ সালে যে কথা বলেছিলাম, এখনও সেটাই প্রযোজ্য। আমি সিপিএমের সঙ্গে চা খাই না, গল্প করি না।’’ যার প্রতিক্রিয়ায় ববি বলেন, ‘‘সিপিএম বাড়ির যদি কেউ অসুস্থ হয়, তা হলে কাউন্সিলর হিসাবে, মন্ত্রী হিসাবে আমার দায়িত্ব তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো। সামাজিক বয়কট-টয়কট সিপিএম করত। আমরা এগুলোয় বিশ্বাস করি না।’’ তখনই তিনি বড়ু চণ্ডীদাসের বিখ্যাত বাণী উচ্চারণ করে বলেন, ‘‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’’

গোলযোগ বেধেছে তা নিয়েই। ববির ওই বক্তব্যের কিছু পরেই জাতীয় এবং রাজ্য স্তরে দলের ‘মুখপাত্র’-দের নামের দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। তার কোনওটিতেই ববির নাম নেই। দলের অনেকের মতে, এটি আসলে ববিকেই ‘বার্তা’। যে, তিনি দলের মুখপাত্র নন। ফলে তাঁর এক্তিয়ার-বহির্ভূত কোনও বিষয়ে মন্তব্য না করাই উচিত। তার পরে প্রায় ৪৮ ঘন্টা কেটেছে। ববি এখনও পর্যন্ত কোনও বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

ববির ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে, তার সঙ্গে ববির কোনও যোগ নেই। কিন্তু যে ভাবে অতীতের কথা বলে দাবি করা হচ্ছে, তাতে তিনিও সেই দুর্নীতির আওতায় পড়ে যেতে পারেন। যদি বলা হয়, বাম আমলের মতো এখনও পুরসভায় নিয়োগে অনিয়ম চলছে, তবে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হিসাবে তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। কোনও নেতার ‘অপকর্মের জন্য’ দল বিপদে পড়েছে। কিন্তু তার দায় পদাধিকারের কারণে পুরমন্ত্রীর উপর বর্তাতে পারে না।

বস্তুত, এমন ইঙ্গিত ববির বক্তব্যেও ছিল গত শনিবার। উদয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন কাউন্সিলর, তখন অনেকে বলতেন, আরে, এক জনকে কর্পোরেশনে ঢুকিয়ে দাও না! ছেলেটা বসে রয়েছে। আমি বলতাম, কর্পোরেশনে ও ভাবে লোক ঢোকানো যায় না। যখন থেকে রিক্রুটমেন্ট রুলস তৈরি হয়েছে, তখন থেকে এ ভাবে আর লোক ঢোকানো যায় না!’’

চেতলা এলাকায় ‘ববি অনুগামী’ হিসাবে পরিচিত এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘ববি’দা কিন্তু অন্য পাঁচটা নেতার মতো নন। দল কোনও দিনও দাদাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েনি। দলের কঠিন সময়ে তিনি বরাবর নিঃশব্দে এগিয়ে এসেছেন। কোনও দিন দলনেত্রী তো দূরের কথা, কোনও নেতার মুখের উপর কোনও কথা বলেননি। যখন যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটাই মুখ বুজে পালন করেছেন। সে যতই কঠিন হোক না কেন। যখন যেখানে যে বিপদের সময়ে পাঠানো হয়েছে চলে গিয়েছেন। নিজের সাধ্যমতো সুরাহাও করেছেন।’’

১৯৯০ সালে বাম জমানায় তৃণমূলের কাউন্সিলর হন ববি। ২০০৯ থেকে বিধায়ক। প্রথমে আলিপুর এবং পরে বন্দর বিধানসভা থেকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বন্দর থেকে তৃতীয়বার বিধায়ক হয়েছেন ৬৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে। ববির ঘনিষ্ঠরা মনে করাচ্ছেন, ২০১৮ সালে কলকাতার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন আচমকা পদত্যাগ করেন, তখন দলনেত্রী মমতা ভরসা রেখেছিলেন ফিরহাদের উপরেই। আইন বদলে ছ’মাসের মধ্যে বিধায়ক ববিকে কাউন্সিলর করে আনা হয়।

সেই ববি কেন এ ভাবে মুখ খুলছেন? দলের একাংশের দাবি, ঘনিষ্ঠ মহলে ফিরহাদ বলেছেন, যা সত্যি তা-ই বলবেন। কাউকে খুশি করার জন্য বা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করতে আর কিছু বলবেন না। জল্পনা সেখানেই তৈরি হয়েছে।

ববি রাজ্যে তৃণমূলের অন্যতম ‘সংখ্যালঘু মুখ’। একইসঙ্গে মুসলমি নেতা হিসেবে তিনি দলের অন্যতম ‘অসাম্প্রদায়িক মুখ’ও বটে। নিজের পাড়ায় ক্রমবর্ধমান দুর্গাপুজো তার নজির। যেখানে তিনি ধর্মের চেয়ে উৎসবকে বড় ঠাঁই দিয়েছেন। আবার যে কারণে দলের একাংশ মনে করেন, ‘সাচ্চা’ মুসলিমরা ববিকে ‘নিজেদের লোক’ বলে ভাবেন না। তৃণমূল শুরুর সময়ে মমতার সঙ্গে আকবর আলি খোন্দকার বা সুলতান আহমেদের মতো সংখ্যালঘু নেতারা ছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা প্রয়াত। ফলে ববির লেখচিত্র তরতর করে উপরের দিকে উঠেছে। নিজের এলাকাতেও তাঁর জনভিত্তি অটুট। ফলে দলের অন্দরে তাঁকে খানিকটা ‘অন্য’ নজরেই দেখা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দলীয় কর্মসূচি ‘দিদির দূত’-এও ববিকে সে ভাবে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। যে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাঁর অনুগামীরা বলছেন, ‘‘ববি’দা ওই কর্মসূচি পালন করছেন নিজের সময়মতো। তবে উনি তো সব সময়েই তাঁর কেন্দ্রের মানুষের পাশে থাকেন। সে জন্য আলাদা করে দূত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।’’ দ্বিতীয়ত, গত পুরভোটের আগে দলে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি চালু করার কথা বলা হলেও ‘মন্ত্রী এবং মেয়র’ ববির ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় হয়েছিল। সেই ‘ফাঁক’ দিয়ে সাংসদ-কাউন্সিলর বা বিধায়ক-কাউন্সিলর পদ রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন একাধিক নেতা-নেত্রী।

কিন্তু সাগরদিঘি-উত্তর পর্যায়ে সেই ‘গুরুত্ব’ খানিকটা খর্ব হয়ে থাকতে পারে বলেই ঘটনাপ্রবাহ দেখে দলের একাংশ মনে করছেন। সাগরদিঘির ফল খারাপ হওয়ার পরে সংখ্যালঘুদের মন বুঝতে যে কমিটি তৈরি করেছিলেন মমতা, সেখানে ববি নেই। ফুরফুরা শরিফের মূল দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে হুগলির নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে। একদা হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহের সংগঠন দেখেছেন ববি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে দেওয়া হয়েছে শুধু হাওড়া ও হুগলির দায়িত্ব। বীরভূমেও তাঁকে কাজ দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে আরও দু’জনকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ববির ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, হুগলি জেলার দায়িত্ব থেকে ফিরহাদকে এক সময়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ সেই জেলাতেই। ঠিক সেই সময়েই ববিকে হুগলির দায়িত্ব ফেরানো হচ্ছে!

সেই কারণেই কি ববি মাঝেমধ্যে ‘নিয়ন্ত্রণরেখা’ পেরিয়ে যাচ্ছেন? সেই কারণেই কি তাঁর ‘রুদ্ধ’ কণ্ঠে মাঝেমধ্যেই ‘বিদ্রোহ’? নাকি এ সব মন্তব্য ‘পরিকল্পিত’? রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় সংখ্যালঘু নেতা হয়ে ওঠার পথে মাঝেমধ্যে টোকা মেরে নিজের অবস্থান যাচাই করে নেওয়া? তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা। আবার অনেকে মনে করতে চাইছেন, গুরুত্ব কমার ইঙ্গিত পেয়ে ববি দলের অন্দরে খানিকটা ‘চাপের রাজনীতি’ করতে চাইছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল যখন বিভিন্ন দুর্নীতির পঙ্কে অনেকটাই নিমজ্জিত, তখন নিজের ‘স্বচ্ছ’ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছেন ফিরহাদ। রাজনৈতিক ভবিষ্যতে কথা ভেবে আপাতত সেটিই তাঁর ‘সময়োচিত’ পরিকল্পনা।

আরও পড়ুন
Advertisement