Judge vs Judge in Calcutta HC

‘আমি লজ্জিত’! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেনের দ্বৈরথ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি

কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির মধ্যে যে বেনজির সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে এই প্রথম মুখ খুললেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ইতিমধ্যে মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৬
Chief Justice T. S. Sivagnanam is not happy with conflict of two judges in Calcutta High Court

(বাঁ দিক থেকে) কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সৌমেন সেন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুললেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। জানালেন, এই ঘটনায় তিনি লজ্জিত। দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে এজলাস ছেড়ে উঠে যাওয়ার আগে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। ওই সময়ে আদালতের সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ ছিল। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যেকার সংঘাত প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য আমি দুঃখিত এবং লজ্জিত। আইনের এই মন্দির থেকে এটা আশা করা যায় না।’’

দুই বিচারপতির সংঘাত প্রকাশ্যে আসার পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত মামলা হাই কোর্ট থেকে আপাতত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মামলা শীর্ষ আদালত নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, কলকাতা হাই কোর্টে সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের মধ্যে যা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু এ প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্যও করতে চান না। কারণ তা হলে হাই কোর্টের গরিমার উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এটা দেশের ঐতিহ্যশালী হাই কোর্ট। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি অনেক সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলছে। আমরা এই সমস্যার সমাধান করার সব রকম চেষ্টা করছি। আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।’’

মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল। এর পরেই ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ‘ত্রুটি’ উল্লেখ করে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশই তিনি খারিজ করে দেন এবং সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেন।

স্বঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে। শনিবার ছুটির দিনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বসে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। ওই দিন হাই কোর্টে মেডিক্যাল মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। তার পর সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তারা এই মামলা নিজেদের হাতে নিচ্ছে। মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।

Advertisement
আরও পড়ুন