Sandeshkhali Incident

সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে সন্দেশখালি যাবেন সুকান্তেরা, হুঁশিয়ারি, যেখানে আটকাবে, সেখানেই হবে পুজো

প্রথমে ঠিক ছিল, টাকির হোটেলে সরস্বতী পুজো করে তার পর সন্দেশখালি রওনা হবেন সুকান্তরা। কিন্তু পরিকল্পনায় বদল এনে স্থির হয়, সরস্বতী প্রতিমা সঙ্গে করেই সন্দেশখালি অভিমুখে রওনা দেওয়া হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
টাকি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:২৭
টাকির হোটেলে আনা হল সরস্বতীর প্রতিমা।

টাকির হোটেলে আনা হল সরস্বতীর প্রতিমা। — নিজস্ব চিত্র।

আচমকাই পরিকল্পনায় বদল। হোটেলে নয়, সরস্বতী পুজো করা হবে সন্দেশখালিতেই। হোটেল থেকে প্রতিমা নিয়ে বেরোনোর কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু সন্দেশখালির নির্দিষ্ট ১৯টি জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে সুকান্তকে সন্দেশখালি যেতে নিষেধ করছে পুলিশ প্রশাসন। সূত্রের খবর, সুকান্ত সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড়। তিনি জানিয়েছেন, সরস্বতী প্রতিমা সঙ্গে করেই তিনি সন্দেশখালি রওনা দেবেন। পুলিশ তাঁদের যেখানেই আটকাবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো করবেন।

Advertisement

মঙ্গলবার ছিল বিজেপির বসিরহাটের এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। সড়কপথে গেলে পুলিশ আটকে দিতে পারে, সেই আশঙ্কায় উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুর স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকালে করে সুকান্ত পৌঁছে যান বসিরহাট। স্টেশন থেকে কিছুটা বাইকে, তার পর হেঁটে পৌঁছে যান এসপি অফিসের কাছাকাছি। তার পরেই শুরু হয় ধুন্ধুমার। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লাঠিচার্জ করে পুলিশ, পাল্টা ইট ছোড়ার অভিযোগ বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন তাতে আহত হন। গোটা দিন গোলমাল চলে। তার পর মধ্যরাতে সুকান্তকে বন্ডে সই করিয়ে মুক্তি দেয় পুলিশ। রাত্রিবাস করতে সুকান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় টাকির একটি হোটেলে।

বুধবার সকালে সেই হোটেল থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল সুকান্তের। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় তাঁর যাত্রা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়। তার পর শোনা যায়, হোটেলেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেই জন্য হোটেলেই প্রতিমা আনা হয়। সেই সময় ওই হোটেলে উপস্থিত বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেছিলেন, ‘‘আমরা সন্দেশখালি গিয়ে মা- বোনেদের দুঃখের কথা শুনব ঠিক ছিল। কিন্তু দেখছেন কেমন করে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বিদ্যার দেবীর আরাধনার দিন আমাদের এ ভাবে আটকে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন আমাদের গৃহবন্দি করে রেখেছে। কিন্তু আমরা ভেদাভেদ করব না। সুকান্ত দা নিজে পুজোয় থাকবেন। আমরা পুজোর পর প্রসাদ পুলিশের হাতে তুলে দেব।’’

কিন্তু তার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির পরিকল্পনায় বদলের কথা শোনা যায়। সূত্রের খবর, সুকান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সরস্বতী প্রতিমা, পুরোহিত সঙ্গে করেই তাঁরা সন্দেশখালি রওনা হবে। পথে যেখানে তাঁদের পুলিশ আটকাবে, সেখানেই তাঁরা সরস্বতী পুজো করবে। আর যদি বাধাহীন ভাবে তাঁরা সন্দেশখালি পৌঁছে যান, তাহলে সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে পুজো করা হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement