Central forces in West Bengal

বঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ২১ জুন পর্যন্ত, শুভেন্দুর ‘হিংসা’ মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্টও চাইল কোর্ট

‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনায় আক্রান্তদের নিরাপত্তা চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে আরও কয়েক দিন রাজ্যে রেখে দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ১৯:৫৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র সম্ভাবনার কথা নজরে রেখে নির্বাচন কমিশন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছিল, ১৯ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সেই সময়সীমা আরও দু’দিন বাড়াল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার উচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, আগামী ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

Advertisement

‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনায় আক্রান্তদের নিরাপত্তা চেয়ে গত সোমবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে আরও কয়েক দিন রাজ্যে রেখে দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। মামলাটি উঠেছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে বঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সময়সীমা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতির মোকাবিলা রাজ্য পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চেয়েছে কোর্ট। ১৪ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন।

হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তৃণমূলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের আবার মুখ পুড়ল। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার যে পরিকল্পনা তৃণমূলের ছিল, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার মেয়াদ কলকাতা হাই কোর্ট বাড়িয়ে দেওয়ায় তা ভেস্তে গিয়েছে।’’

ভোট-পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কমিশন। যার ফলে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেও রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে থাকছেন জওয়ানেরা। তাই সেই সব স্কুলে এখনও ক্লাস শুরু করা যায়নি। সেই বিষয়টিও আদালতে উত্থাপিত হয়। তার প্রেক্ষিতে কোর্টের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আর স্কুলে রাখা চলবে না। তাদের থাকার জন্য অন্য কোনও জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন