এ বার নজর মিড ডে মিলের হিসেবনিকেশে। — ফাইল চিত্র।
আবারও সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে। সব ঠিকঠাক চললে আগামী মার্চ মাসে মিড ডে মিল বিষয়ে অনুসন্ধান করতে আরও একটি প্রতিনিধি দল আসবে পশ্চিমবঙ্গে। সেই প্রতিনিধি দল রাজ্যে খরচ হওয়া মিড ডে মিলের হিসেব সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অডিট করতে আসছে বলেই সূত্রের খবর। কিছু দিন আগেই রাজ্যের মিড ডে মিল পরিষেবার হালহকিকত খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল।
জানুয়ারি মাসের সেই প্রতিনিধি দল রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি ও খাবারের মান খতিয়ে দেখে দিল্লি ফিরে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের মিড ডে মিল কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি করে যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাই আর কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিনিধি দলের সম্মুখীন হতে হবে না। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে শিক্ষা দফতর জেনেছে, মার্চ মাসে রাজ্যে আসতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের অডিট সংক্রান্ত একটি প্রতিনিধি দল। যারা মিড ডে মিল সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেব খতিয়ে দেখবে।
মিড ডে মিল প্রকল্পের খরচ, হিসেবপত্র ইত্যাদি বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু এ বার কেন্দ্রীয় অডিট দলকে বিস্তারিত ভাবে জানাতে হবে। যদিও অডিট সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় দলটির আগমনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু জেলা প্রশাসনের কর্তারা নিশ্চিত, ওই দলটি আগামী মার্চ মাসের যে কোনও দিন পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আবারও রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে প্রতিটি জেলায় বাছাই করা কিছু স্কুল পরিদর্শন করেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেই পরিদর্শনে বিশেষ কোনও অভিযোগ বা অনিয়ম পায়নি তারা। প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের সময় যে যে শর্ত পূরণের কথা বলা হয়েছিল, সে সবই পূরণ করা হয়েছিল বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। তাই আবারও কেন অডিট দল পাঠানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মিড ডে মিল খাতে টাকা নয়ছয়ের নালিশ করেছেন কেন্দ্রের কাছে। তাই অডিট টিম পাঠানোর কারণ নিয়ে নানা জল্পনা চলছে সরকারের অন্দরে। সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতর থেকে প্রশাসনিক ভাবে এখনও কোনও নির্দেশ জেলাগুলির কাছে না পাঠানো হলেও, অডিট দলটি আসার আগে মিড ডে মিল নিয়ে যাবতীয় তথ্য ও নথি হাতের কাছে রাখতে বলা হয়েছে। সেই মতো জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি শুরু করেছে বলেই খবর।