আবার সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল বিধায়ককে। —ফাইল চিত্র।
চিটফান্ড মামলায় সুবোধ অধিকারীকে আবার তলব করল সিবিআই। বুধবারই তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও মঙ্গলবারের মতো বুধবারও বিধায়ক তাঁর আইনজীবীদের পাঠান সিবিআই দফতরে। সিবিআইয়ের কাছে আবার সময় চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সুবোধের আইনজীবী প্রসেনজিৎ নাগ এবং আইনজীবী প্রদীপ কর বলেন, ‘‘আমরা তো ১৫ দিন সময় চেয়েছি। তা ছাড়া ওঁরা তল্লাশি চালিয়েও কিছু পাননি। এখন ১৫ বছর পুরনো কাগজ চাওয়া হচ্ছে। সেটা তো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার! কিন্তু সেই সময়টা তো দিতে হবে।’’ তাঁদেরও এ-ও অভিযোগ, সুবোধ তাঁর হাজিরার নোটিস হাতে নিতে চাইলেও সেটা তাঁর বাড়ির দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। কেন এমনটা হল প্রশ্ন তোলেন দুই আইনজীবী।
সানমার্গ চিটফান্ড মামলায় বিভিন্ন তথ্য জানতে মঙ্গলবার সুবোধকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯১ ধারায় নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই চিটফান্ড কাণ্ডে ধৃত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির সঙ্গে যোগ থাকার কারণেই বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। মঙ্গলবারও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছিল বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধকে। কিন্তু তিনি ১৫ দিন সময় চান। আইনজীবী মারফত খবর পাঠিয়েছিলেন, তদন্তে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু তাঁকে সময় দেওয়া হোক।
এর আগে গত রবিবার সুবোধের হালিশহর ও কলকাতার বাড়ি, ফ্ল্যাট, অফিস-সহ ৫ জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁরা জানতে চান, বিধায়কের বিপুল সম্পত্তির আয়ের উৎস কী। সেই কারণেই তৃণমূল বিধায়কের আয় ও তাঁর সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়।
সুবোধের স্ত্রী রিঙ্কু অধিকারী জানান, পাইকপাড়ার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর স্বামীর ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং এলআইসি-র কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। সুবোধের পাসপোর্টের নম্বরও সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর ধৃত রাজুর সঙ্গে সুবোধের যোগাযোগ প্রসঙ্গে রিঙ্কু বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা দু’জনেই হালিশহরের বাসিন্দা। এক জায়গায় থাকলে কিছু বন্ধুত্ব তো থাকবেই। এ ছাড়া পার্টি সংক্রান্ত যোগাযোগ ছিল, আর কিছু নয়।’’