TET Recruitment

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে সিবিআই, কলকাতা হাই কোর্ট রায় বহাল রাখতেই তল্লাশি শুরু

কয়েক ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিকের নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত করবে সিবিআই-ই।  এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আপত্তি কোর্ট গ্রাহ্য করেনি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৩৮
সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে অপেক্ষারত তদন্তকারীদের গাড়ি।  ভিতরে  আধিকারিকরা।

সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে অপেক্ষারত তদন্তকারীদের গাড়ি। ভিতরে আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।

আদালতের সবুজ সঙ্কেত পেতেই অভিযোগের খাসমহলে পৌঁছে গেল সিবিআই। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতেই রাখার কথা বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিকেল ৪টের কিছু আগে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্রের খবর, টেটের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পর্ষদের অফিস থেকে নথি সংগ্রহ করতে এসেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ডেটা এক্সপার্ট অর্থাৎ তথ্য বিশারদও থাকতে পারেন বলে খবর।

শুক্রবার সকালেই কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ টেট সংক্রান্ত একক বেঞ্চের রায় বহাল রেখে জানিয়েছিল, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতেই থাকবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে আপত্তি তুলেছিল কোর্ট তা গ্রাহ্য করেনি। বরং তারা জানিয়ে দেয় আদালতের নজরদারিতেই তদন্তে যেমন এগোচ্ছিল সিবিআই সে ভাবেই এগোবে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বিকেল ৪টে নাগাদ সল্টলেকের আচার্য সদনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের একটি দল।

Advertisement

সূত্রের খবর, দু’টি গাড়িতে তিন জন আধিকারিক এসে পৌঁছেছেন আচার্য সদনে। সেই সূত্রেই আরও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা পর্ষদের দফতর থেকে কম্পিউটারের পুরনো হার্ড ডিস্কের ফাইল সংগ্রহ করতে গিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার সময়েও পর্ষদের দফতর থেকে বের হতে দেখা যায়নি সিবিআই আধিকারিকদের। তারা পর্ষদের সার্ভার রুমে রয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ আদালতের নির্দেশ পেয়ে এ বার টেটে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহে এক রকম কোমর বেঁধে কাজে নেমেছে সিবিআই।

উল্লেখ্য, টেটে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একক বেঞ্চ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করে রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও। একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন মানিকও। কিন্তু শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে।

আরও পড়ুন
Advertisement