Calcutta High Court

কৌস্তুভের বিরুদ্ধে এফআইআরে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের, পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব

বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী চার সপ্তাহ এই মামলা স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কৌস্তুভের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫০
Calcutta High Court’s instruction on FIR against lawyer and Congress leader Kaustav Bagchi

কৌস্তুভ বাগচীর বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী চার সপ্তাহ এই মামলা স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কৌস্তুভের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। মাঝরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

Advertisement

গত ৩ মার্চ হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গভীর রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, ‘বিনা কারণে’ বড়তলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কৌস্তুভের গ্রেফতারির পর কংগ্রেস এবং বাম আইনজীবীরা তাঁর পাশে দাঁড়ান। কংগ্রেস এবং বামেরা কৌস্তুভের গ্রেফতারির কড়া নিন্দা করে। তারা জানায়, এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় স্তরে আন্দোলন করা হবে। পুলিশের বক্তব্য ছিল, কৌস্তুভকে হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়। ৪ মার্চ ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁকে এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয়। তাঁর জামিনের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ অন্য আইনজীবীরা। তাঁরা অবিলম্বে কৌস্তুভকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়ার দাবি জানান। ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেই চুল কামিয়ে ন্যাড়া হন কৌস্তভ।তিনি বলেন, ‘‘যত দিন না মমতা সরকারকে উৎখাত করছি, তত দিন মাথার চুল রাখব না।’’

গত ২ মার্চ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন অধীরের কন্যার আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে তিনি ‘অনেক কথা’ জানেন। তিনি ‘মুখ খুললে’ বিপদ হবে! তার জেরেই ৩ মার্চ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। ওই দিন রাতেই কৌস্তুভের বাড়িতে যায় পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement