Calcutta High Court

প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ, দু’বছর পর জট কাটল স্যাটের, মামলা শুনতে হবে সদস্যকেই, নির্দেশ কোর্টের

প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মামলা শুনতে হবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের সদস্যকেই। পাশাপাশি, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২০
File image of Calcutta High Court

কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

বিচারপতির অভাবের কারণে দীর্ঘ দিন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল, সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ এবং আইসিডিএস সুপারভাইজ়ার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি হচ্ছিল না স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট)। অথচ রাজ্য সরকার মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ চালিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অমিত প্রধান-সহ ৩০ চাকরিপ্রার্থী।

Advertisement

মামলাকারী অমিত-সহ ৩০ জনের পক্ষে আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, ২০২২ সালের অগস্ট মাস থেকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান না থাকায় কার্যত থমকে গিয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। সেই কারণে রাজ্য সরকারের কর্মচারী তাঁদের প্রাপ্য আদায় ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মামলা এবং বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বহু মামলা বিচারাধীন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ‘সার্কুলার নোটিফিকেশন’ বা সরকারি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের মামলার কোনও শুনানি হচ্ছে না। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে প্রথম যে সময় মামলা হয়, সেই সময় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালকে সমস্ত ধরনের মামলা শুনতে হবে। পাশাপাশি, অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে বিচার প্রক্রিয়া এগোতে পারে। কিন্তু অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে দিনের পর দিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলাকে শুনানি না করেই পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আইসিডিএস সুপারভাইজ়ার নিয়োগ মামলা না শুনে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শুনানির দিন ধার্য করেছিল বলেও প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে অভিযোগ জানান মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী। তার পরেই রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, আর কোনও অজুহাত নয়! অবিলম্বে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের সদস্যকে শুনতে হবে সমস্ত মামলা। প্রধান বিচারপতি মামলাকারীর আইনজীবীকে আরও আশ্বাস দেন যে, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement