বিচারপতি অমৃতা সিংহ। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৪ জন ‘বেআইনি ভাবে’ চাকরি পেয়েছেন। সেই জায়গায় যোগ্যদের চাকরি দেওয়ার দাবি তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের দাবি, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হোক। এ সবের মাঝেই বিচারপতি অমৃতা সিংহের মন্তব্য, আদালত ঠিক করেছে, বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে। যদিও ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ তিনি আগেই দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্ত করে আদালতকে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে ৯৪ জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। গত অক্টোবরে ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সিংহ। প্যানেল প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। প্যানেল প্রকাশের উপর উচ্চ আদালত পরে স্থগিতাদেশ দেয়। চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দী, রমেশ মালিকের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি। এ বার ওই দুই মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ওই ৯৪ জনের জায়গায় যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি দেওয়া হোক। চাকরি যাঁরা করছেন, তাঁদের আইনজীবীর যুক্তি, মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরনো প্যানেল থেকে নিয়োগ করা যায় না। নতুন প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ শুরু করতে হবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর তা করা হলে তাতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন সকলেই। এর পরেই বিচারপতি সিংহ বলেন, আদালত ঠিক করেছে বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁরা সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানেও আমরা আশাবাদী।’’