ভাল কাজে টাকা খরচ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
সামাজিক সুরক্ষার জাল আরও পোক্ত করার মতো উন্নত মানের খরচে জোর দেওয়াই কেন্দ্রের লক্ষ্য। আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে রাজকোষ ঘাটতিকে নামাতে চায় ৪.৫ শতাংশের নীচে। তবে জিডিপি বৃদ্ধির নিরিখে ভারত দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হলেও উন্নতির রাস্তায় ঝুঁকিগুলি বহাল। আয়-ব্যয় ও দায়বদ্ধতা নিয়ে ষান্মাসিক পর্যালোচনার উপর জারি বিবৃতিতে এই বার্তা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। সম্প্রতি সংসদে এটি পেশ করে তারা।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-২৬ সালের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকার আর্থিক ব্যবস্থাকে আঁটোসাঁটো করতে দায়বদ্ধ। ২০২১-২২ সালের বাজেটে যে ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ঘাটতিকে জিডিপির ৪.৫ শতাংশের নীচে নামাতেও। তাই ভাল কাজে টাকা খরচ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পদক্ষেপ করা হচ্ছে মূলত দরিদ্র মানুষদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা জরুরি ২০০৩ সালের ‘ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী বাজেটে ঘোষিত বিষয়গুলির মধ্যে কতগুলি পালন করা সম্ভব হয়নি।
বিবৃতিতে দাবি, চলতি অর্থবর্ষের বাজেট হয়েছিল ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহে। তার মধ্যেও ভারত দ্রুততম বৃদ্ধি বহাল রেখেছে। বাজেটে রাজস্ব এবং মূলধনী খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৮.২১ লক্ষ কোটি টাকা। প্রথম ছ’মাসে হয়েছে ২১.১১ লক্ষ কোটি। লক্ষ্যের প্রায় ৪৩.৮%। ঘাটতির অনুমান ছিল ১৬.১৩ লক্ষ কোটি টাকা, জিডিপির ৪.৯%। প্রথম ছ’মাসের হিসাব ধরা হয় ৪.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা, বাজেট অনুমানের ২৯.৪%।