Calcutta High Court on Suvendu Adhikari

দেহরক্ষীর মৃত্যুর এত বছর পরে কেন অভিযোগ দায়ের? শুভেন্দুর রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন হাই কোর্টের

২০১৮ সালের অক্টোবরে কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছিল শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তাঁর স্ত্রী কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৬
Calcutta High Court slams WB Government on BJP leader Suvendu Adhikari’s bodyguard death case

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানতে চেয়েছেন, ঘটনার এত বছর পরে কেন অভিযোগ করছেন মৃতের স্ত্রী? তাঁর মন্তব্য, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আত্মহত্যার তত্ত্ব জোরালো এবং কী ভাবে হয়েছে সেটা পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ দেখে বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা রয়েছে। স্ত্রীর অভিযোগ দেখে কোথাও হত্যার অভিযোগ পেলাম না, তিনি শুধু এটাই বলেছেন যে অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি করেছে।’’

Advertisement

এর পরেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্তের মন্তব্য, ‘‘ওই ঘটনার তিন বছর পর নতুন করে কেন মামলা দায়ের? এমন যদি করা হয়, তা হলে প্রচুর মামলা আদালতে চলে আসবে।’’ বিচারপতির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, ওই সময় শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তাই হয়তো মৃতের পরিবার ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারেনি!

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম হয়েছিলেন শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। তার পরের দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার প্রায় তিন বছর পরে ২০২১ সালের জুলাই মাসে শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরেই শুভেন্দু হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবেদন জানান, হয় ওই মামলা খারিজ করা হোক, নয়তো সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক।

ওই মামলার শুনানিতে বুধবার হাই কোর্টে কল্যাণ বলেন, ‘‘শুধু একটি অভিযোগ নয়। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়ায় রাখাল বেরা আর চঞ্চল নন্দীর। শুভেন্দুর নাম করে তাঁরা টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইডি চুপ কেন? আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি ছুটে যায়। মঙ্গলবার নুসরত জাহানকে ইডি ডেকেছিল। এ ক্ষেত্রে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চুপ কেন? তাঁর আরও সওয়াল, চঞ্চল রক্ষাকবচ পাননি বলেই কি বিরোধী দলনেতা নতুন করে মামলা দায়ের করলেন? আদালতের রক্ষাকবচ থাকার জন্য তদন্তে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির জন্য আলাদা আইন হতে পারে না।’’ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ এবং তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়ার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। ওই দিন শুভেন্দুর আইনজীবীর সওয়াল করার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement