Bengal Recruitment Scam Case

‘চুরি করে চাকরি পেয়েছেন’! তৃণমূলের শিক্ষক নেতাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট, কী কী অভিযোগ?

নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে হাওড়ার তৃণমূলের এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। আদালত জানায়, তিনি চুরি করে চাকরি পেয়েছেন। এই চাকরি থাকতে পারে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৭:৫৮
হাওড়ার তৃণমূলের শিক্ষক নেতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।

হাওড়ার তৃণমূলের শিক্ষক নেতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

তৃণমূলের শিক্ষক নেতা শেখ সিরাজুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সিরাজুল চুরি করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। আদালত জানায়, তাঁর নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। সম্প্রতি হাওড়া জেলায় তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষাসেলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল সিরাজুলকে। তাঁর এই নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল উচ্চ আদালত।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে সিরাজুলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে আগেই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিরাজুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, পুলিশ সিরাজুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না। ফলে আদালতে পুলিশের ভূমিকাও সমালোচিত হয়। বিচারপতির নির্দেশে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিরাজুলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল হাওড়া সদর থানা।

কিন্তু বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিরাজুল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তৃণমূলের ওই শিক্ষক নেতা চুরি করে চাকরি পেয়েছেন। কোনও ভাবেই তাঁর চাকরি থাকতে পারে না। তাঁর নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। এর পরেই সিরাজুলের চাকরি বাতিল করে দেয় আদালত।

রাজ্য সরকারের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সোমা রায় নামক এক চাকরিপ্রার্থী এই মামলায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর মামলায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল আদালত। বিচারপতি বসুর নির্দেশ ছিল, সারা রাজ্যে বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্ত করবে ওই কমিটি। সেই তদন্তেই সিরাজুলের নাম প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, সিরাজুলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীর আইনজীবী। পরে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে সিরাজুলের নাম প্রকাশ্যে আসে। সেই মামলাতেই তাঁর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement
আরও পড়ুন