Sandeshkhali Incident

দিল্লির তথ্যসন্ধানী দলকে সন্দেশখালিতে প্রবেশের অনুমতি হাই কোর্টের, কবে, কোথায় যাওয়া যাবে?

রবিবার সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধা পেয়েছিল দিল্লি থেকে আসা তথ্যসন্ধানী দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন পটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি। পুলিশ তাঁদের আটকে দিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫২
কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

দিল্লি থেকে আসা তথ্যসন্ধানী দল বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত রবিবার ওই দলের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ মাঝপথে তাঁদের বাধা দেয়। এর পর রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলের প্রতিনিধিরা। সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার সেই অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন তথ্যসন্ধানী দলের সদস্যেরা। তবে সন্দেশখালির সর্বত্র তাঁরা যেতে পারবেন না। যে সব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি, সেখানেই ঢুকতে পারবেন তাঁরা। ১৪৪ ধারা জারি আছে যেখানে, সেখানে তথ্যসন্ধানী দল যেতে পারবে না।

গত শনিবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিল ছয় সদস্যের ওই তথ্যসন্ধানী দল। রবিবার সকালে তারা সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন পটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি। স্থির ছিল, ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাবে তারা। কিন্তু ভোজেরহাটেই দলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। বাধার মুখে পড়ে তথ্যসন্ধানী দলের সদস্যেরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের তরফে তাঁদের বলা হয়, সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেখানে যা পরিস্থিতি, তাতে যেতে দেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু যুক্তি মানতে নারাজ ছিলেন তথ্যসন্ধানী দলের সদস্যেরা। এর পরেই তাঁদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তথ্যসন্ধানী দলের দাবি, প্রথমে তাদের আটক করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ বেআইনি ভাবে তাদের আটকেছে।

রবিবার রাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন ওই দলের সদস্যেরা। দলের সদস্য ভাবনা বজাজ এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জানান, তাঁরা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। রাজ্যপাল যাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা ঘোষণা করেন, তার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁরা। রাজভবন সূত্রে খবর, তথ্যসন্ধানী দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। তার পর হাই কোর্ট থেকেও তথ্যসন্ধানী দলটিকে সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। আদালতে তথ্যসন্ধানী দলের হয়ে মামলাটি লড়েছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

আরও পড়ুন
Advertisement