Calcutta High Court

বীরভূমে হেফাজতে মৃত নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

২০২০ সালে মল্লারপুর থানায় এক নাবালককে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পর দিন থানার একটি ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এ বার সেই মামলায় আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ আদালতের।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৪৫
representational image

বীরভূমে হেফাজতে মৃত নাবালকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ। — ফাইল ছবি।

বীরভূমের মল্লারপুরে ২০২০ সালে পুলিশ হেফাজতে এক নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই মামলায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনাও করেছে আদালত।

পাশাপাশি হাই কোর্টের নির্দেশ, আগামিদিনে কোনও নাবালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আগে পশ্চিমবঙ্গ জুভেনাইল জাস্টিস আইন (২০১৭) মেনে চলতেই হবে পুলিশকে।

Advertisement

২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর বীরভূমের মল্লারপুরের রেলপাড় খালাসিপাড়ার বাসিন্দা ১৫ বছরের এক নাবালককে চুরির সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, থানার একটি ঘরে তাকে রাখা হয়। পর দিন সেখান থেকেই নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কী ভাবে তার মৃত্যু হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার এই মামলায় নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।

স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল, থানার মধ্যে মারধরের কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালকের। যদিও মৃতের বাবা-মা স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, ‘‘ছেলে আত্মহত্যা করেছে।’’ যদিও তাতে রাজনীতি থামেনি। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। পথে নামে বিজেপি নেতৃত্ব। বীরভূম জেলা পুলিশ মল্লারপুর থানার এক সাব ইন্সপেক্টর এবং এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করেছিল। কিন্তু কেন থানার ওসিকে ছাড় দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় নেমেছিল বিজেপি। জেলা পুলিশের কাছে ঘটনার রিপোর্টও তলব করছিল হাই কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন