Calcutta High Court

মেদিনীপুরের হাসপাতালে বেআইনি ভাবে কাজের দায়িত্ব! নিরাপত্তা এজেন্সির বরাত বাতিল করল কোর্ট

দুই মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি সংস্থাকে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওই সংস্থাকে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪৬
পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের হাসপাতালে নিরাপত্তা এজেন্সির কাজের বরাত বাতিল।

পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের হাসপাতালে নিরাপত্তা এজেন্সির কাজের বরাত বাতিল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এজেন্সিকে বেআইনি ভাবে কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগ। বরাত বাতিল করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই এজেন্সির নিরাপত্তা রক্ষীদের হাসপাতাল থেকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও।

Advertisement

দুই মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি সংস্থাকে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওই সংস্থাকে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়। প্রকৃত পদ্ধতি মেনে টেন্ডার ডেকে যে সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছিল, তাদের তা দেওয়া হয়নি। এই সংক্রান্ত মামলায় মঙ্গলবার হাই কোর্ট জানায়, বিধি মেনে যে ওই সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি, তা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত। হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের নির্দেশ, টেন্ডারে উত্তীর্ণ ব্যক্তিকে সরিয়ে অসফল ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার নির্দেশ এখনই বাতিল করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

মামলাকারীর বক্তব্য, টেন্ডার অনুযায়ী, মেদিনীপুরের হাসপাতালগুলির ওই কাজের দায়িত্ব যাওয়ার কথা ‘এমএম সিকিউরিটিস’-এর হাতে। তারাই প্রকৃত প্রাপক। কিন্তু তাদের কাজের বরাত দেওয়া হয়নি। গত ২১ অক্টোবর একটি নোটিস দিয়ে বাদ দেওয়া হয় ওই সংস্থাটিকে। আপাতত সেই নোটিসও স্থগিত করেছে আদালত। কেন এমন একটি নোটিস দেওয়া হয়েছিল, আদালতে তা হলফনামা আকারে জানাতে হবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। একই সঙ্গে, যে সংস্থা বরাত পেয়েছিল, কী ভাবে, কোন পদ্ধতিতে, কিসের ভিত্তিতে এবং কার সুপারিশে তাদের ওই বরাত দেওয়া হল, তা-ও আদালত জানতে চেয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

আরও পড়ুন
Advertisement