Compassionate Appointment

স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুতে কি সহানুভূতি-নিয়োগ পাবেন পরিবারের সদস্য? রাজ্যকে প্রশ্ন হাই কোর্টের

প্রধান রোজগেরের মৃত্যু হলে অনেক ক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে পরিবারের অন্য কাউকে ওই চাকরি দেওয়া হয়। এই ধরনের নিয়োগকে ‘কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ বলে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৪৬

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর উপর নির্ভরশীলকে (সাধারণ ভাবে পরিবারের এক সদস্য) ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ড’-এ বা সহানুভূতি-ভিত্তিক চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, স্কুলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও কি এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য? স্কুলে সহানুভূতি-নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের কী অবস্থান, তা এ বার জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, রাজ্যকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে ওই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। প্রধান রোজগেরের মৃত্যু হলে অনেক ক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে পরিবারের অন্য কাউকে ওই চাকরি দেওয়া হয়। এই ধরনের নিয়োগকে ‘কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ বলে। ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছিল হেমা বিশ্বাসের। মৃত্যুর পরে তাঁর যাবতীয় উত্তরাধিকারী হন বোন স্বপ্না বিশ্বাস।

দিদির মৃত্যুর পরে সহানুভূতি-ভিত্তিক চাকরি চেয়ে শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষা দফতর তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পরে হাই কোর্টে মামলা করেন স্বপ্না। বুধবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের সওয়াল— রাজ্যে সরকারি চাকরির বেশিরভাগ পদে ‘কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। একটি পরিবার চালানোর জন্য মানবিকতার কারণে এই চাকরি দেওয়া হয়। অথচ স্কুলের চাকরির ক্ষেত্রে ওই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। এ ক্ষেত্রেও ওই পরিবারকে চাকরি দেওয়া হোক। এর পরেই বিচারপতি ভট্টাচার্য এ বিষয়ে ‘অবস্থান’ জানানোর জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন
Advertisement