প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জি২০ শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে আগামী ১৮-১৯ নভেম্বর ব্রাজিলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। ব্রাজিল যাওয়ার আগে ১৬-১৭ নভেম্বর আফ্রিকার দেশ নাইজ়িরিয়ায় যাবেন তিনি। রিও ডি জ়েনেইরোয় জি২০ শীর্ষবৈঠক সেরে যাবেন দক্ষিণ আমেরিকার আর এক দেশ গায়নায়।
দিল্লিতে গত বছরের ১০ নভেম্বর জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের শেষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সভাপতিত্বের ‘গাভেল’ তুলে দিয়েছিলেন মোদী। প্রথা মেনে এ বারের শীর্ষবৈঠকের আয়োজক হয়েছে ব্রাজিল। বাণিজ্য এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিও জি২০-তে এ বার আলোচনায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, নাইজ়িরিয়া এবং গায়না সফরের উদ্দেশ্য হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
সাউথ ব্লকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জি২০ শীর্ষসম্মেলনের ফাঁকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদীর পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যে ফের মুখোমুখি হবেন দুই রাষ্ট্রনেতা। গত ২২ অক্টোবর রাশিয়ায় কাজ়ানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন মোদী। সেখানেই লাদাখ-সহ বিভিন্ন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার।
নাইজ়িরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ টিনিবুর সঙ্গে মোদীর বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিদ্যুৎ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। গত দেড় দশকে ২০০টি ভারতীয় সংস্থা আফ্রিকার ওই দেশে ২৭০০ কোটি ডলার (প্রায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা)। আগামী দিনে তা আরও বৃদ্ধি করা মোদীর লক্ষ্য। অন্য দিকে, ১৯-২১ নভেম্বরের গায়না সফরে সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ইরফান আলির আমন্ত্রণে পার্লামেন্টে বক্তৃতা করবেন মোদী। দু’দেশেই ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সভাতেও যোগ দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রায় ১৭ বছর পরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নাইজ়িরিয়ায় গেলেন। আর ১৯৬৮ সালের পরে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীর গায়না সফর।