Civic volunteer

বীরভূমে সিভিকের বাড়িতে বিস্ফোরণ! মৃত্যু প্রতিবেশীর, গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে স্থানীয়েরা

বিড়ি খেতে খেতে বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন দু’জনে। সেই বিড়ির ফুলকি থেকেই গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় প্রাণ গেল এক জনের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০২
সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।

সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। —নিজস্ব চিত্র।

বিড়ি খেতে খেতে বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন দু’জনে। সেই বিড়ির ফুলকি থেকেই গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় প্রাণ গেল এক জনের। ঘটনাচক্রে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর সেই ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। মৃতের দেহ আটকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে দীর্ঘ ক্ষণ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্যাস বেলুনের ব্যবসা রয়েছে সাঁইথিয়া থানার সিভিক ভলান্টিয়ার দূর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের। তাঁর সঙ্গেই কাজ করতেন প্রতিবেশী বিপদতারণ বাগদি। সিলিন্ডার ফেটে তাঁরই মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিস্ফোরণের পর ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন দূর্গাপ্রসাদ। আর বিপদতারণের দেহ পড়ে ছিল বাইরে। দূর্গাপ্রসাদ তৎপর হয়ে বিপদতারণকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে তিনি বেঁচে যেতে পারতেন বলেই দাবি প্রতিবেশীদের। তাঁদেরই দাবি, দু’জনে মিলে বিড়ি খেতে খেতে কাজ করছিলেন। সেই সময়েই বিস্ফোরণ হয়।

বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয় বিপদতারণের দেহ আটকে রেখে। এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের পরেই ঘরে ঢুকে পড়েছিল দূর্গাপ্রসাদ। আমরা গিয়ে দেখি, বাইরে বিপদতারণের দেহ পড়ে রয়েছে। আমরা দূর্গাপ্রসাদের শাস্তি চাই। গ্রেফতার করতে হবে ওকে।’’ বিপদতারণের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তুলেছেন প্রতিবেশীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন