বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ফোনে কথা হল পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র।
নদী ভাঙন নিয়ে রাজ্য সরকারের লিখিত প্রস্তাব দেখে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি পরিষদীয় দল। তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা হয় শোভনদেবের। নদী ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য সর্বদল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। সেখানেই সরকারের লিখিত প্রস্তাবটি দেখতে চান বিরোধী দলনেতা। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব জানান, মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে দিল্লি সফরে রয়েছেন, তিনি ফিরলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেই সরকারি প্রস্তাব পাঠানো হবে বিরোধী দলের কাছে। শোভনদেবের আরও দাবি, প্রস্তাব দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি পরিষদীয় দল তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেবে রাজ্যকে এমনটাই জানিয়েছেন শুভেন্দু।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে নদী ভাঙন নিয়ে একটি প্রস্তাব আনেন শোভনদেব। বিরোধী দল বিজেপিকে প্রস্তাব দেন, রাজ্যের এই সমস্যার সমাধানে যৌথ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চায় রাজ্য। জবাবে এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বিরোধী বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়ে জানান, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে দল। পরে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন লিখিত প্রস্তাব পেলেই এ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত জানাবেন।
রাজ্য সরকারের তরফে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয় কৃষিমন্ত্রী শোভনদেবকে। সেই নির্দেশ মতোই মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, যত তাড়াতাড়ি রাজ্য লিখিত প্রস্তাব তাঁদের কাছে পাঠাবেন, তত তাড়াতাড়ি তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্রের খবর, এই প্রতিনিধিদলে ১২ জনকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি দলের ৭ জন বিধায়ক ও বিরোধী দলের ৫ জন বিধায়ক থাকার কথা এই প্রতিনিধিদলে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে বিজেপি পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্তের ওপরে। কারণ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সাক্ষাতের পর বিজেপির অন্দরে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তাতে এই প্রস্তাবে তাঁরা কতটা সায় দেবেন তা নিয়ে সংশয় থাকছেই, এমনটাই মত বাংলার রাজনীতির কারবারিদের।