রাজ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি চালুর দাবি তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক। ফাইল চিত্র
রাজ্যে জনসংখ্যা নীতি তৈরির দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বিধানসভাতেও এ নিয়ে তিনি সরব হতে চান। রবিবারই নয়া জনসংখ্যা নীতি ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী আদিত্যনাথের সেই পথেই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাঁটা উচিত বলে মনে করেন অগ্নিমিত্রা। রবিবার রাতে তিনি এই সংক্রান্ত একটি টুইট করেন।
১১ জুলাই, রবিবার ছিল আন্তর্জাতিক জনসংখ্যা দিবস। সে দিনই নতুন জনসংখ্যা নীতি প্রকাশ্যে আনে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শনিবার উত্তরপ্রদেশ আইন কমিশনের ওয়েবসাইটে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রকাশ করার পর রবিবারই নতুন জনসংখ্যা নীতির ঘোষণা করা হয়। তাতে সরকার জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রতি হাজার জনে জন্মহার ২.১ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ১.৯-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথের সরকারের এই ঘোষণার পর পরই অগ্নিমিত্রা টুইটারে লেখেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি সবার কাছে উদ্বেগের। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবসে এই বিষয়টা একটু ভেবে দেখুক রাজ্য। শুধু ভোট রাজনীতির জন্য চোখ বন্ধ করে রাখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি ঘোষণা করুক।’ টুইটে কারও নাম না লিখলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেনঅগ্নিমিত্রা। একই সঙ্গে ট্যাগ করেছেন রাজ্য বিজেপি-রসভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘বাংলায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। রাজ্যের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এটা নিয়ে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ না দেখে বাংলার ভবিষ্যতের কথা ভাবা উচিত।’’ একই সঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশ এই রাজ্যের একটা বড় সমস্যা। আমাদের দল বরাবর এ নিয়ে সরব হয়েছে। রাজ্যের জনসংখ্যা অনুপ্রবেশ অসম হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে জন্ম হারও কমানো দরকার। সেটা করার জন্য রাজ্য সরকারের নীতি গ্রহণ জরুরি।’’অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে দলের ভিতরে আলোচনা হয়েছে। শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলে আগামী দিনে এ নিয়ে বিধানসভাতেও সরব হবেন তিনি।