ছবি: শাটারস্টক।
করোনাভীমরুল হঠাৎই জনপথ ছেড়ে আপাতত আবার চাকে ঢুকে পড়েছে। কেন, সেটা আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানের কারিকুরি আর ব্যবস্থার সাফল্য বলে ঢোল পেটাতে বিন্দুমাত্র খামতি দেখাইনি। দুর্জনেরা বলে, ‘ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে’। সে যা-ই হোক, এখন হুল্লোড়ের মধুচন্দ্রিমা চলছে চারপাশে। সব আনন্দ এখনই নিংড়ে নিতে না পারলে জীবনটা শুকিয়ে যাবে। আর ওই যে বিজ্ঞানীরা বলে দিয়েছেন, করোনাকে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে। সুতরাং দু’হাত উপরে তুলে, খোলা মুখে উদাত্ত কণ্ঠে গান গাইছে সবাই— ‘তুঁহু মম মনপ্রাণ হে’।
স্মৃতি সতত সুখের। আমার পাশের যে বাড়িতে সব আলো নিভে গেছে করোনার আগুনে, তার দিকে তাকিয়ে ‘আহা রে’ স্বগতোক্তি করে এসইউভি চেপে বেরিয়ে পড়ছি দিঘা-মন্দারমনি। দমবন্ধ হয়ে আসছিল! আবার নাকি ঢেউ আসবে। অতএব অপেক্ষা করা নেই। যুদ্ধে, ভালোবাসায় আর আনন্দের সময় নিয়ম নাস্তি। অতএব মাস্ক এখন চুলোয় যাক! আর একটা ভ্যাকসিন তো নেওয়াই হয়ে গিয়েছে। এর পরে যা আছে কপালে।
এই মুহূর্তের নাগরিক কথন এটা। কেউ বলতে পারেন উন্মার্গগামিতা। কেউ আবার এটাই স্বাভাবিক বলে গলা ফাটাতে পারেন। কিন্তু মোদ্দা ব্যাপার হল— একটা গা শিউরানি থেকেই যাচ্ছে। আমার জীবন আমি কেমন ভাবে কাটাব সেটা ঠিক করার অধিকার অবশ্যই আমার আছে। কিন্তু আত্মহত্যাকে এখনও ‘অধিকার’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। জীবনের পথচলা নির্ভর করে বোধ এবং ভাবনার উপর। আমরা প্রতিদিনই শিখি আর সেই অনুযায়ী জীবনের পথ পাল্টাতে থাকি। শেখারও নানা পদ্ধতি আছে। কেউ বুঝে শেখেন। কেউ বা জগৎসংসারের ভালমন্দ অন্যদের থেকে বেশি স্বচ্ছতার সঙ্গে, অনেক আগে ঠাহর করে ফেলতে পারেন। সমাজ এদের ত্রিকালদর্শী বলে সম্মান করে। এতদিন জেনে এসেছি, শেখার সব থেকে বলশালী আর দীর্ঘস্থায়ী পথ হচ্ছে ঠেকে শেখা। মানে আগুনে পুড়ে আগুন চেনা। কিন্তু করোনার লীলাখেলায় সবই যেন কেমন ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। করোনার আগুনে আদ্যোপান্ত ঝলসে যাওয়া, সিদ্ধ হওয়া সত্তা নিয়েও দেখা যাচ্ছে মানুষ ছুটে চলেছে আগুনের জ্বালামুখের দিকে। কিন্তু কলকাতা থেকে খড়গপুর, বোলপুর বা ডায়মণ্ড হারবার যে পথেই এগোতে যান— চোখ পড়ে বিস্তীর্ণ দু’পাশের অসংখ্য মানুষের মাস্কবিহীন জমায়েত। হুল্লোড় তো আছেই। সবাই শুনছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আইএমএ সতর্ক করছে— করোনা আবার এল বলে! বিরাম নেই তাতেও। চায়ের দোকান, হাটবাজার সব জায়গায়। প্রশ্ন করলে উত্তরও হাজির— পা টিপে টিপে আর কত হাঁটব? এত কিছু করে তো আগেও করোনাকে আটকানো যায়নি।
নিজের মনেই প্রশ্ন জাগছে: এটাই কি স্বাভাবিক সামাজিক আচরণ? যুগে যুগে কি এমনটাই ঘটে থাকে? নাকি জীবনকে টি-২০ ভেবে মেরে খেলার এক অদ্ভুত জীবনবোধ গভীর অসুখ হয়ে আমাদের আচ্ছন্ন করেছে এতদিন। করোনা এসে একটানে তার ঝালরটা দিয়েছে সরিয়ে। এত কাছ থেকে সবাই এত অসহায়ত্ব দেখেছেন, দেখেছেন বা শুনেছেন এত মৃত্যুর কথা। তা সত্ত্বেও বিধিকে শৃঙ্খল বলে ভাবা আর তাকে ছিঁড়ে ফেলার এই ছটফটানি আত্মবিস্মৃতি, আত্মরতি এবং আত্মহননের যে নতুন পথের হদিস দিচ্ছে, কোনও এককথায় তার বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।
প্রলয় আমাদের অনেক প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। একটা ঢেউ চলে যাবার পর প্রশস্ত বালুচরে দাঁড়িয়ে তাই প্রশ্ন জাগে, মাস্কবিহীন সহমরণের যে চলমান দৃশ্য, তা কি সমস্যার গুরুত্ব বুঝতে পারার ক্ষমতার অভাবেই? নাকি আদতে ভয় ও ভালবাসার মতোই ক্ষণস্থায়ী? কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকারি বিজ্ঞাপন, টেলিফোনের স্বরলিপিতে বেজে চলা করোনাগাথা, টেলিভিশনের পর্দায় নানান কিসিমের কিচির মিচির, শ্মশানে জ্বলতে থাকা চিতার ছবি— সব মুছে ফেলেছে ভারতীয় প্রজাতির ভাবনার পথ। একবিংশ শতকে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর একমাস। তাই প্রশ্ন জাগে, সকলের মিউটেশন হয়। শুধু কেন হয় না আমাদের ভাবনা আর ব্যবহারের। এমন যদি একটা মিউটেশন হত, যাতে ভারতীয় ঐতিহ্য, হৃদয়বত্তার সাথে যোগ হত চৈনিক শৃঙ্খলার জিন! তাহলে যে ডেল্টা প্রজাতি তৈরি হত, তা নিশ্চিত ভাবে রুখে ফেলত তৃতীয় ঢেউ। শৃঙ্খলাকে সুধা বলে ধরে নিয়ে চলমান আত্মোৎসর্গের গহ্বর থেকে আমাদের টেনে বার করত হিড়হিড় করে। এমন একদল মানুষ ভূভারতে বাস করত, যারা মনে করত না মাস্ক পরাটা অসহনীয়। আহাম্মকের কাজ। যারা নির্বোধের মতো খোল-করতাল নিয়ে রাস্তায় গেয়ে বেড়াত না ‘আয় করোনা ঝেঁপে, জীবন দেব মেপে’।
মনে রাখি
আজকের দিনলিপি অবশ্যই অসহায়ত্বের। প্রকৃতির নির্মমতার সাথে যুঝতে গিয়ে এতদিন চোখে-পড়া নিতান্ত ভঙ্গুর এবং অসম প্রতিরোধের। কিন্তু ভাঙা বুকের পাঁজর থেকেই গড়তে হয় নতুন জীবন।
সভ্যতার অগস্ত্যযাত্রায় আমরা আছি বছর দেড়েক। করোনার ঝড় উড়িয়ে নিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি। অনেকে দেওয়াল চাপা পড়েছেন। কেউ শিলাবৃষ্টিতে কুপোকাত। এমন বহু মানুষ এখন পাড়ায় পাড়ায় আছেন, যাঁরা রেমডেসিভির, টসিলিজুম্যাব সাজানো নাগরদোলায় দুলতে দুলতে পকেট ফুটো করেছেন। কিন্তু বিজ্ঞানের নারায়ণীসুধায় ভর করে যে আবার চাঁদ দেখতে পাচ্ছেন, তাতেই মুগ্ধ। ড্রক্সিসাইক্লিন, আইভারমেকটিনের নৈবেদ্যর ডালি-ভরা করোনা পূজার উপাচার এখনও সাজানো হাসপাতাল নামের দেবস্থানগুলোর আশেপাশে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটর, একশো বনবিবির পুজোর থানে মাথা কুটে যাঁরা কোনওরকমে মাতলা বা বিদ্যাধরী সাঁতরে বাড়ি ফিরেছেন, তাঁরা নিজেরাও জানেন না মহাকালের আশীর্বাদের ফুল তাঁদের মাথায় পড়ল কোন ছায়াপথ দিয়ে। সিআর পিডি ডাইমার আর সিটি স্ক্যানের ছাঁচে ফেলা জীবনগুলো এখনও বুঝে উঠতে পারছে না, আকাশে রোদ্দুর উঠেছে নাকি এখনও মেঘ?
এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের চু কিত কিত খেলার আওয়াজ। আলফা, বিটা, ডেল্টা, ডেল্টাপ্লাস, ল্যাম্বডা কত সুর যে আছে করোনার গানে! আগের বার পারেননি তো কী হয়েছে, এ বার সরকার বাহাদুর আগের থেকেই সাইরেন বাজাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কেউ যেন দোষ না দিতে পারে, মানুষকে সতর্ক করেনি সরকার। আর যে দেশের মানুষ মা কালীর রুদ্ররূপ দর্শনে প্রশান্তি পায়, রাক্ষসকে মনে করে স্বর্গীয় দেবদূতের মাটির গন্ধমাখা বিগ্রহ, তাদের সচেতন করার একমাত্র পথ যে ভয় দেখানো, সেটাই অনুসৃত হচ্ছে। তৃতীয় সুর, ষষ্ঠ সুরের গুপী-বাঘার যাত্রার মতো করোনার ঢেউ গোনাও চলছে অবিরাম। বাতাসে সোঁদা গন্ধ, ঈশান কোণে বারুদের পাহাড়। পঞ্জিকাপ্রণেতারা কেউ বলছেন সেপ্টেম্বরে তার তাঁবু পড়বে। বিশুদ্ধমতে তা নাকি আরও হপ্তাখানেক আগেই এসে পড়তে পারে। এবার নাকি করোনাসুরের শিশুমুখী আগমন। যুগদ্রষ্টা পুরোহিতেরা কড়ি গুনে, মাটির গন্ধ শুঁকে এ-ও বলে দিচ্ছেন, তৃতীয়ার সন্ধিক্ষণে শিশুমেধ যজ্ঞের আয়োজন বন্ধ করতে নতুন মন্ত্রোচ্চারণ দরকার। ‘গাইডলাইন ফ্রেমার’-রা ব্যস্ত রণসজ্জার কুটকৌশল বানাতে। ‘বাবুদের তালপুকুরে’ জলের গভীরতা মাপার আর চোরাস্রোতের দিক ঠিক করার জন্য জেনোম- সিকোয়েন্সিং নামের জাল বিস্তার করা চলছে চারপাশে। ‘ইউরেকা-ইউরেকা’ গোছের আবিষ্কারের আনন্দধ্বনি খবরের কাগজে আর টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠছে মাঝেমধ্যেই। সব সময় ঢিপঢিপ করতে থাকা আমাদের বুকের ভিতর মাঝেমধ্যেই বইয়ে দিচ্ছে নতুন সুরের গরম স্রোত। কাবেরীতে কিছুদিন আগেই ভাসিয়ে দেওয়া ‘কেউ না চেনা’ মানুষগুলোর অস্থিকলস ভারত মহাসাগরের দু’কূল ছাপানো অববাহিকায় হঠাৎই সন্ধান পেয়েছে আরও অনেক হতভাগার। যাদের কেউ করোনা ধরেছে বলে ট্যারাচোখে দেখেনি। ডক্সিসাইক্লিন, ক্লোরোকুইন, আইভার মেকটিন, রেমডেসিভির, টসিলিজুম্যাবের বিজ্ঞানতান্ত্রিক কামড় যাদের খেতে হয়নি। প্রতি মুহূর্তে সংক্রামিত আর মৃতের টেলিভিশনের স্ক্রোলের অঙ্কের স্পর্শরেখার বাইরে থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই গাঁ-গঞ্জের মানুষগুলোর। হিসেবের বাইরে ছিল যারা। গাঁয়ে করোনা নেই বলতে বলতে খোলামুখ কয়লা খাদান বানিয়ে রেখেছিলাম আমরা। আমার জ্বর করোনা নয়, আমার বাবা করোনায় মরেনি বলতে বলতে সে অভাগী স্বর্গে গিয়েছে। এরা সকলে জীবন থেকে নেওয়া বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে এখনকার মাস্কবিহীন হুল্লোড়ে মানুষগুলোর দিকে।
আমাদের মনে রাখা দরকার যে সরকারি এবং নাগরিক করোনার অপার করুণাভরা দৃষ্টিতে গ্রামে ধিকধিক করে জ্বলতে থাকা করোনার ঝোপঝাড় সে রকম কিছু বলে কখনও ধরা পড়েনি। আর এখন যখন ড্রপসিন উঠছে, তখন সেই আমাদের শিখিয়ে দেওয়া ‘করোনা নেই’ মানসিকতায় বুঁদ হয়ে থাকা গ্রামের মানুষ বন্ধনমুক্তির অসময়ের আনন্দে আহ্লাদ করেছেন পথেঘাটে, বাজারে, বন্দরে। আমাদের এ-ও মনে রাখা দরকার যে, গ্রামের ঝোপেঝাড়ে জ্বলতে থাকা স্ফুলিঙ্গ শহরে আসে দাবানল হয়ে। আমাদের চোখে যখন পড়ে, তখন আমরা তাকে ‘ঢেউ’ বলি। আসলে আমরা ঢেউ গুনি সাগরের। তার গভীরতা মাপি না। ওই যে রবিঠাকুর গেয়ে গিয়েছিলেন, “পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে। অজ্ঞানের অন্ধকারে…’।
কোন আকাশে ফুটবে ভোরের তারা
আর পারা যাচ্ছে না। আলো খুঁজছি আমরা সবাই। আর এ আলো দেখাতে পারেন একমাত্র বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর সৃষ্টিই যেমন কোন এক খণ্ডমুহূর্তে হয়েছিল, ঠিক তেমনই কোনও এক সকালে পৃথিবী শুনবে এমন এক ওষুধ আবিষ্কারের কথা, যা বদলে দেবে আমাদের জীবন। করোনাবধের অগ্নিবাণের কথা বলছি। যার জন্য প্রাণপাত চলছে নিখিল বিশ্বের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ল্যাবরেটরিতে ল্যাবরেটরিতে। যতদিন আমাদের হাতে তা না আসছে, ততদিন এখনকার মতো দা-কুড়ুল দিয়ে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
হাতে থাকা অস্ত্রগুলোকেও বুঝে নেওয়া দরকার। ভ্যাকসিন অবশ্যই এই মুহূর্তের ধ্রুবতারা। কিন্তু শুধু ভ্যাকসিনে ভর করেই এই দরিয়া পার করা যাবে, এ ভাবনা বাস্তবোচিত নয়। খুব পরিষ্কার ভাবে কতগুলো শুনতে ভালো না-লাগা কথা অন্তর্মুখী আলোচনায় আসা দরকার এখন। যে দুঃখের করোনা অভিসারে আমরা বছর দেড়েক আছি, তাতে যাঁরা ভাল হয়েছেন তাঁরা কিসের গুণে ভাল হয়েছেন, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও পরিষ্কার নয়। অবশ্যই ভাল চিকিৎসার সাফল্য যেখানে সব থেকে এগিয়ে। আর সে ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল— ‘আমাকে চিকিৎসা পেতে হবে তাড়াতাড়ি। অতএব দ্রুত পরীক্ষা, দ্রুত নজরে আসার চেষ্টার সাফল্য’। ওষুধ বলতে ছিল তো এবং আছে এখন একমাত্র অক্সিজেন। বাকি সবই তো করোনা পূজায় ‘এতে গন্ধপুষ্পে’ গোত্রের। যদিও এগুলো ঘট সাজানোর সামগ্রী। তা-ও এগুলো লাগে। নিতান্তই বিজ্ঞানবিরোধী শোনালেও যা পরিষ্কার, তা হচ্ছে, প্রকৃতির অপার করুণা যাঁদের উপর বর্ষিত হয়েছে, তাঁরা ভাল হয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন দ্রুতলয়ে। ভাইরাসের মিউটেশনের ধারাপাত আউড়ে করোনামুক্তি আদৌ আসবে বলে মনে হয় না। মানুষের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার ইচ্ছার পরিবর্তন না হলে যা এখনও দেখা যাচ্ছে না। তা হলে শুধুমাত্র ভাইরাস যখন জৈবিক পরিতৃপ্তি বা অক্ষমতার জন্য আমাদের ছেড়ে যাবে, তখনই করোনামুক্তি হবে। অবশ্যই ওষুধ আবিষ্কৃত হবে। এবং তা অচিরেই।
চিনের নাম করা এদেশে বারণ। করোনার প্রেক্ষিতে তো বটেই। সঙ্গত কারণ মনে রেখেই বলতে হয় যে, প্রথম আগুন জ্বলেছিল ওদের গুহাতেই। ওদের আমরা দুষেছি। কিন্তু সৈনিক শৃঙ্খলায় আগুন নিভিয়ে যেভাবে আত্মরক্ষা করেছে চিনেরা, তার থেকে আমরা কিছু হলেও নিতে পারতাম। প্রলম্বিত প্রলয়ের মাঝদরিয়ায় নৌকা বাইতে বাইতে মনে হচ্ছে একশো বছর বা হাজার বছর পরেও আবার এমন প্রলয় তো আসবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অসহায়ত্ব-মুক্তির জন্য আমরা কি শুধু রেখে যাব মাস্কবিহীন এক অন্তর্জলি যাত্রার ইতিহাস? সেটা বোধহয় ঠিক হবে না।
(লেখক বিশিষ্ট চিকিৎসক। মতামত একান্ত ব্যক্তিগত)