West bengal Assembly

বিধানসভায় ফের সঙ্ঘাত, বিজেপির ‘চোর’ স্লোগানের জবাবে তৃণমূলের পোস্টার, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’

সরকারি নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিজেপির তরফে। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্পিকার তা খারিজ করে দেন। তাঁর যুক্তি, এটি ‘আদালতে বিচারধীন বিষয়’।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৪০
বিধানসভায় পোস্টার-যুদ্ধ বিজেপি-তৃণমূলের।

বিধানসভায় পোস্টার-যুদ্ধ বিজেপি-তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র।

শুভেন্দু অধিকারীর ‘লেডি পুলিশ’ মন্তব্য এবং দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের বিরোধীদের তরজায় ফের উত্তেজনা ছড়াল বিধানসভায়। সেই সঙ্গে দেখা গেলে দু’শিবিরের পোস্টার-যুদ্ধও। শেষ পর্যন্ত এক প্রস্ত বাগ্‌বিতণ্ডার পরে সভা থেকে ওয়াকআউট করেন শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়কেরা।

সরকারি নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিজেপির দলনেতা শুভেন্দুর তরফে। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। তাঁর যুক্তি, ‘আদালতে বিচারাধীন বিষয়’ বলে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বিরোধীদের প্রস্তাব। স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় বিধানসভায়।

Advertisement

বিজেপি বিধায়কেরা রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পোস্টার উঁচিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। সাম্প্রতিক নিয়োগ দুর্নীতি ও গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার ‘তৎপরতা’র প্রসঙ্গ তুলে স্লোগান দেন ‘চোর ধরো জেল ভরো।’ কয়েক জনকে ওয়েলের কাছে নেমে আসতেও দেখা যায়।

চুপ ছিলেন না শাসক শিবিরের বিধায়কেরাও। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় বিরোধী দলনেতার শুভেন্দুর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে পোস্টার প্রদর্শন শুরু করেন তাঁরা। তাতে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে শ্লেষও— ‘৫৬ ইঞ্চি ছাতির টেল (গল্প), ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল (পুরুষ)।’ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজার মতো মন্ত্রীদেরও বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে বিধানসভায় বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভ ঘিরে দু’শিবিরের বিধায়কেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছিল শুভেন্দু-সহ সাত বিধায়ককে।

আরও পড়ুন
Advertisement