অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই বিজেপির ধর্মতলার সভা। মঞ্চ বাঁধা শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার সেখানে দুপুর ২টো নাগাদ আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে বক্তৃতার পালা। রাজ্য বিজেপির যা পরিকল্পনা, তাতে সকাল ১০টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে দলের কবিয়াল-বিধায়ক অসীম সরকারের গান থেকে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের কবিতা আবৃত্তি চলবে। এর পরে রাজ্যের নেতারা বক্তৃতা শুরু করবেন।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কার পরে কে বক্তৃতা করবেন সেটা ঠিক না হলেও শুরু এবং শেষটা চূড়ান্ত। প্রথমেই বক্তব্য রাখবেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রচারে এসে চন্দনার কথা বলেছিলেন। এ বার শাহের সভাতেও প্রথম বক্তার সম্মান দেওয়া হবে তফসিলি এই বিধায়ককে।
চন্দনার পরে একে একে রাজ্যের সাংসদ, বিধায়ক, নেতাদের অনেকেই বক্তৃতা করার সুযোগ পাবেন। তবে কেউ বেশি ক্ষণ বলতে পারবেন না। বিজেপি সূত্রে যা জানা গিয়েছে, বক্তার তালিকায় সমাজের সব ক্ষেত্রের উপস্থিতি চাইছে দল। আদিবাসী নেতা থেকে তফসিলি জাতি, জনজাতির বক্তারা যেমন থাকবেন, তেমনই দলের প্রাক্তন নেতাদেরও কেউ কেউ বক্তা হিসাবে থাকবেন। সাংসদ হিসাবে বক্তার তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
তবে শুরু থেকে মঞ্চে দেখা যাবে না রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যা ঠিক হয়েছে, তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন শাহকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সর্বশেষ যে সফরসূচি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দুপুর সওয়া ১টায় তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে আসবেন রেসকোর্স। এর পরে সড়কপথে পৌনে ২টোর সময়ে সভাস্থল। বিমানবন্দর থেকে সভাস্থল পর্যন্ত শাহের সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত এবং শুভেন্দু। শাহের উপস্থিতিতেই তাঁরা বক্তব্য রাখবেন। এর পরে আড়াইটে থেকে শাহের বক্তব্য রাখার কথা। সূচি অনুযায়ী, জনসভা থেকে শাহ রেসকোর্সের দিকে রওনা দেবেন বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ।
বক্তা তালিকায় চমক ছাড়াও বিজেপি নতুন একটি কাজ করছে এই সমাবেশে। ভিড়ের মধ্যেই রাখা থাকবে দশটি বাক্স। যেখানে কেন্দ্র বা রাজ্যের প্রকল্প থেকে বঞ্চিতরা নিজেদের অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।