প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত তিন দিনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল তিন জন করোনা আক্রান্তের। তাঁদের তিন জনেরই কোমর্বিডিটি ছিল বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এই মুহূর্তে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এ বার কোভিডে মৃত্যুর খবহর প্রকাশ্য এল। ওই তিন জনের মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এই তিন দিনে মৃত্যু হয়েছে তিন কোভিড আক্রান্তের। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে নাড়ু সিংহ (৬০) নামে ভাতারের এক বাসিন্দা ভর্তি হয়েছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি দীর্ঘ দিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সুধীরকুমার খান (৬০) নামে দেওয়ানদিঘি এলাকার এক বাসিন্দা ভর্তি হয়েছিলেন ওই হাসপাতালেই। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি কয়েক দিন আগে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের কীর্ণাহারের যুবক তৈয়ব শেখ (২৫)-এর মৃত্যু হয়। পড়ে গিয়ে আঘাত লেগেছিল তাঁর। বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাঁকে রেফার করা হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। গত ২৮ জুলাই তাঁর কোভিড ধরা পড়ে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তুভ নায়েকের দাবি, ‘‘তৈয়বের শ্বাসকষ্ট ছিল। এনসেফেলাইটিসও ধরা পড়েছিল।’’
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের রাধারানি বিভাগে কোভিড চিকিৎসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে ১৪ জন রোগী ভর্তি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়লেও আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি। শতাধিক কোভিড বেডের পাশাপাশি কোভিড আইসিইউ, সিসিইউ-সহ সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি।’’ সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।