Indian Railways

নোয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনের সংযোগকারী সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত রেলের, দুর্ভোগের আশঙ্কা

রেলের তরফ থেকে আসা এই চিঠির পরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কারণ, নওয়াদা ছাড়াও আলিগ্রাম ও দেয়াশা-সহ মোট তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা এই সেতুর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ০২:০৪
নওয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনে মধ্যে সংযোগকারী রেল সেতু।

নওয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনে মধ্যে সংযোগকারী রেল সেতু। — নিজস্ব চিত্র।

খানা জংশন থেকে রামপুরহাটের লুপ লাইনে নোয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনে মধ্যে সংযোগকারী রেল সেতু ভেঙে ফেলা হবে। সম্প্রতি রেলের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, খানা জংশন-রামপুরহাট লুপ লাইনের নোয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনের মধ্যে সংযোগকারী রেল সেতু ভেঙে তা পুনরায় নতুন করে নির্মাণ করা হবে।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে রেলের পূর্ত দফতরের ডেপুটি চিপ প্রজেক্ট ম্যানেজার (আইআরএসই) এন কে গৌরব অনুমতি চেয়ে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রেলের সেতুটি বেশ পুরনো এবং বয়সের ভারে জরাজীর্ণ। এটি একেবারেই সুরক্ষিত নয়। তাই ওই সেতুটি ভেঙে ফেলে ফের নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করা হবে। এই কাজ শেষ হতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে। যার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

রেলের তরফ থেকে আসা এই চিঠির পরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কারণ, নোয়াদা ছাড়াও আলিগ্রাম ও দেয়াশা-সহ মোট তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা এই সেতুর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হল এই সেতুটি। টানা এক বছর এই সেতুটি বন্ধ থাকলে কী ভাবে তাঁরা যাতায়াত করবেন— এই প্রশ্নও তাঁরা তুলেছেন।

এ প্রসঙ্গে গুসকরা-২ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা নোয়াদা গ্রামের বাসিন্দা সুবীর মণ্ডল বলেন, “রেল বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করুক, না হলে আমরা কী ভাবে যাতায়াত করব? স্কুলপড়ুয়ারা কী ভাবে যাতায়াত করবে? তা ছাড়া এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। বছর চারেক আগেও এই সেতু সংস্কার করা হয়। তখন মাত্র মাসখানেক রাস্তা বন্ধ ছিল। তাতেই এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।”

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন