গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
রাজ্য সরকারের ট্যাবের টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না ঢোকার অভিযোগকে কেন্দ্রে করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এক জনের টাকা, অন্য জনের অ্যাকাউন্টে ঢোকার অভিযোগ ওঠে। প্রথমে দাবি করা হয়, পড়ুয়াদের ‘ভুলে’ই গরমিল হয়েছে। অনেকে আবার স্কুলের করণিকদের (ক্লার্ক) দায়ী করেছিলেন। কিন্তু এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করলেন স্কুল কর্মীদের সংগঠন। একই সঙ্গে ট্যাব-কাণ্ডের সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
রবিবার বর্ধমান শহরের লাকুড্ডি বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে ‘স্কুল এবং মাদ্রাসা ক্লার্ক অ্যাসোশিয়েশনে’র জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলনেই উঠে এসেছে রাজ্যের ট্যাব-কাণ্ডের কথা। সংগঠনের নেতৃত্বের অভিযোগ, বহু প্রতিকূল অবস্থা এবং পরিকাঠামোর মধ্যে তাঁদের কাজ করতে হয়। অথচ তাঁদের উপরেই সব দায়দায়িত্ব আছে। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক তাপস গোলুই বলেন, ‘‘প্রথমে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা অ্যাকাউন্টে না ঢোকায় আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল আমাদের ভুলে বা দোষেই নাকি ট্যাবের টাকা পায়নি পড়ুয়ারা। অথচ তদন্তে দেখা গেল গোটা ঘটনায় জড়িত জামতাড়া গ্যাং। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন গ্রেফতারও হয়েছেন। এখন কার্যত প্রমাণিত হল এই ঘটনার শিকড় বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।’’
সংগঠনের সদস্য বিশ্বেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গোটা রাজ্যের ২০ শতাংশ স্কুলে কোনও করণিক নেই। অথচ এই ভাবেই স্কুল চলছে। পোর্টালে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে করণিক ছাড়াই। রাজ্যের সব মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং মাদ্রাসায় করণিক নেই। পাশাপাশি বেশির ভাগ স্কুলেই করণিকের সংখ্যা এক। তাঁকেই বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও দেখতে হয়, তেমনি স্কুলের অন্যান্য কাজ ও সামলাতে হয়। এই অবস্থায় তাঁদের দায়িত্ব বেশি অথচ পরিকাঠামো দুর্বল।’’ তিনি আরও জানান, ট্যাবের জন্য আবেদনকারীদের নাম সংশ্লিষ্ট পোর্টালে তোলার পর তার কপি দেওয়া হয় স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছে। তাই যদি কোথাও কোনও ভুল হয়ে থাকে তবে তার দায় বর্তায় প্রধানশিক্ষকের উপরও।