মৃত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। —ফাইল চিত্র।
বাঁকুড়ার আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আরজু মালিক। তাঁর বাড়ি বিহারের জামুই এলাকায়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় পার্টি অফিসে গুলি করে খুন করা হয় আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয়কে। আততায়ীদের গুলিতে জখম হন ধনঞ্জয়ের দেহরক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল শেখর দাস। তৃণমূল নেতা এবং তাঁর দেহরক্ষীকে আততায়ীরা গুলি করে পালানোর পর স্থানীয়েরা দু’জনকে রঘুনাথপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ধনঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে শেখরকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি আপাতত সুস্থ বলে খবর।
এই ঘটনায় তীব্র হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। তড়িঘড়ি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পুলিশ। সেই দলের মাথায় ছিলেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খুনের ঘটনার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেন। ধনঞ্জয়ের বাড়ি যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটি গুলি লেগেছিল ধনঞ্জয়ের শরীরে। আর নিরাপত্তারক্ষীর লেগেছিল একটি গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত আরজু বহু দিন ধরে ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে থাকতেন। সেখান থেকে রেলের সিন্ডিকেট চালাতেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
খুনের ঘটনার পর দিন অর্থাৎ, শুক্রবার পুরুলিয়ার বেতো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আরশাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় এলাকা থেকে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হওয়া দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আদ্রা থানা।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, আরশাদ বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী। এখন এই আরজুর ভূমিকা কী ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।