Purba Bardhaman

মেয়েকে যৌন নির্যাতন যুবকের, ধরতে দ্রুত স্কুটি ছোটালেন বাবা

বাড়ি ফিরে কিশোরী জানিয়েছিল, রাস্তায় অপরিচিত এক যুবকের ‘যৌন নির্যাতনের’ শিকার হয়েছে সে। শুনেই মেয়েকে স্কুটারে চাপিয়ে ওই যুবকের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন তার বাবা।

Advertisement
প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫২
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

বাড়ি ফিরে কিশোরী জানিয়েছিল, রাস্তায় অপরিচিত এক যুবকের ‘যৌন নির্যাতনের’ শিকার হয়েছে সে। শুনেই মেয়েকে স্কুটারে চাপিয়ে ওই যুবকের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন তার বাবা। টানা কয়েক ঘণ্টা এলাকা চষে অভিযুক্তকে খুঁজে বার করেন তিনি। তার পরে ওই যুবককে তুলে দেন পুলিশের হাতে। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ওই ঘটনায় নির্যাতিতা ও তার বাবাকে কুর্নিশ জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম প্রদীপ তুড়ি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করে প্রদীপ। কিশোরী বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে মাকে ঘটনাটি জানায়। মেয়ের থেকে যুবকের বিবরণ শুনেই তাকে স্কুটিতে চাপিয়ে অভিযুক্তের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন নির্যাতিতার বাবা। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান মেলেনি ওই যুবকের। দুপুর দেড়টা নাগাদ ফের তার খোঁজে বেরোন বাবা-মেয়ে। হঠাৎ ওই যুবককে একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কিশোরী। ইশারায় তাকে চিনিয়ে দিতেই তার বাবা ধরে ফেলেন অভিযুক্তকে। শুরু হয় বচসা। অচিরেই ভিড় জমে জমে যায় সেখানে।

বাসিন্দাদের একাংশ জানান, ওই যুবক ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। কিশোরীর বাবা খবর দেন গুসকরা ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

কিশোরীর বাবা বলেন, “মঙ্গলবার সকালে পাশের বাড়ির এক শিশুকে কোলে নিয়ে আসছিল মেয়ে। তখন ওই যুবক শিশুটিকে আদর করার অছিলায় মেয়েকে একাধিক বার যৌন নির্যাতন করে। মেয়ে প্রতিবাদ করে। পাশের বাড়ির একটি মেয়ে বেরিয়ে এলে ছেলেটি পালিয়ে যায়। মেয়ে ওকে চিনত না। বাড়ি ফিরে ও কান্নাকাটি করে। আমার স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। তার পরেই আমি মেয়েকে নিয়ে ছেলেটির খোঁজে বেরিয়ে পড়ি।” সঙ্গে জোড়েন, “এ রকম অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি না দিলে সমাজে অপরাধ বেড়েই যাবে। তাই মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই অপরাধীকে খুঁজে বার করেছি।”

প্রতিবেশীরা জানান, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে ওই কিশোরী ও তার মা দিন দুই আগে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল। গুসকরা ফাঁড়ির এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অনেকেই চেপে যান। ফলে অপরাধীদের সাহস বেড়ে যায়। কিশোরীর বাবা যে ভাবে অভিযুক্তকে খুঁজে বার করেছে, তা প্রশংসনীয়। আমরা চাই, সকলেই নারী নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে এ ভাবেই সোচ্চার হোন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement