—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্রদের পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ‘বাংলার বাড়ি-গ্রামীণ’ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। সেই টাকার যাতে যথাযথ ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করতে বিধানসভা এলাকার পঞ্চায়েতগুলিতে বুধবার থেকে পরিদর্শন শুরু করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “স্বজনপোষণ, অযোগ্যকে পাইয়ে দেওয়া বা কাটমানি খাওয়ার কোনও ঘটনা ঘটলে দলের তরফে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে এক জন উপভোক্তা পাবেন ৬০ হাজার টাকা। সরকারের তরফে আগেই জেলা প্রশাসন উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রেখেছিল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পের সূচনা করার পরে ধাপে ধাপে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। বুধবার নরেন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গোগলা পঞ্চায়েতে। তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েতের সদস্যদের পাশাপাশি দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সভা থেকে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন যাঁদের মাথায় ছাদ নেই, শুধু তাঁদের জন্য। কোনও বিচ্যুতি যদি হয়, তা হলে যেমন সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অসুবিধায় পড়বেন তেমনই পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধানকেও পদ খোয়াতে হবে। দলের কেউ যদি কোনও অনিয়ম করেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নরেন্দ্রনাথ আরও জানান, টাকা পাওয়ার পরে বাড়ি তৈরি করতে যাতে কেউ সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য পাণ্ডবেশ্বর ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জন্য দু’টি পৃথক ফোন নম্বর দেওয়া হবে। সিমেন্ট, বালি-সহ অন্য নির্মাণ সামগ্রী বা জলের কোনও সমস্যা হলে সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে সুরাহার আশ্বাস দেন তিনি। তাঁর কথায়, “টাকা পাওয়ার পরে যেন কারওর বাড়ি আটকে না থাকে। সব বাড়ির কাজ যেন নির্বিঘ্নে ও যথা সময়ে সম্পূর্ণ হয়।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ব্লক মিলিয়ে মোট ১৩টি পঞ্চায়েত পরিদর্শন করবেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ। এ দিন গোগলা পঞ্চায়েত দিয়ে সেই কর্মসূচির সূচনা হল। যাঁরা এ বার বাড়ি পেলেন না, পরের বার তাঁদের দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এ দিকে, অনিয়ম হলে শাস্তির নিদান প্রসঙ্গে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “তৃণমূল আর কাটমানি, সমার্থক। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানেন, ও সব বলে কোনও লাভ হবে না। তবু বলছেন নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার তাগিদে। মানুষ ওঁদের বিশ্বাস করেন না।”